রাজ্যের ৭৩ শতাংশ অতি স্পর্শকাতর বুথে আধা সামরিক বাহিনীর দাবি কমিশনের

কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের পর এবার কি লোকসভা ভোটেও একই ছবি দেখা যাবে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসায় রক্তাক্ত হয়েছিল রাজ্য। এ কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের প্রায় ৭৩ শতাংশ অতি স্পর্শকাতর বুথে আধা সামরিক বাহিনীর দাবি জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

Updated By: Mar 4, 2014, 04:03 PM IST

কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের পর এবার কি লোকসভা ভোটেও একই ছবি দেখা যাবে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসায় রক্তাক্ত হয়েছিল রাজ্য। এ কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের প্রায় ৭৩ শতাংশ অতি স্পর্শকাতর বুথে আধা সামরিক বাহিনীর দাবি জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য রাজ্যে আনতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন এই দাবি বহুবার শোনা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তৃণমূল সরকারে আসার পর সেই ছবি এখন উল্টো।

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন-সরকারের বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌছেছিল। হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও গড়ায় বিষয়টি। শেষপর্যন্ত বহু বুথে আধা সামরিক বাহিনীর নজরদারিতে ভোট হলেও ঠেকানো যায়নি হিংসা-রক্তপাত।

দরজায় এবার কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। এবার কী হবে? গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা-খুনোখুনির যে ধারা চলেছিল, তার পুনরাবৃত্তি রুখতে প্রথম থেকে সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠানো রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যে ৭৩ শতাংশ বুথ অতি স্পর্শকাতর। ওই সমস্ত বুথে আধা সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিতেই ভোট করাতে হবে। আসন্ন লোকসভা ভোটে ওই বুথগুলিতে চার জন করে আধা সামরিক বাহিনী রাখা প্রয়োজন।

আরও একধাপ এগিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি, ৭৩ নয় ১০০ শতাংশ বুথেই রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মত, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন-রাজ্য সংঘাতের রাস্তা আরও একবার প্রশস্ত হয়ে গেল।

.