চিটফান্ড সংস্থার তালিকা তৈরি করছে অর্থ দফতর

চিটফান্ড সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শিগগিরি ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় তালিকা তৈরি করছে অর্থ দফতর। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জেলায় চিটফান্ড সংস্থার তালিকা। তারা কী শর্তে গ্রাহকদের ঋণ দিচ্ছে, আদৌ গ্রাহক টাকা ফেরত পাচ্ছেন কি না, এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অর্থ দফতরের এম ব্রাঞ্চকে।

Updated By: Jan 21, 2013, 11:37 PM IST

চিটফান্ড সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শিগগিরি ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় তালিকা তৈরি করছে অর্থ দফতর। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জেলায় চিটফান্ড সংস্থার তালিকা। তারা কী শর্তে গ্রাহকদের ঋণ দিচ্ছে, আদৌ গ্রাহক টাকা ফেরত পাচ্ছেন কি না, এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অর্থ দফতরের এম ব্রাঞ্চকে। 
ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বছর তিনেক আগেও দেশের মধ্যে রাজ্য ছিল এক নম্বরে। কিন্তু, পালাবদলের পরই বদলাতে শুরু করে ছবিটা। বতর্মানে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে রাজ্য সবার পিছনে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী,
২০০৯-১০ সালে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে জমা পড়েছিল প্রায় সাত হাজার নশো নব্বই কোটি টাকা। 
 
পরের বছর, অথার্ত ২০১০-১১ সালে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে জমার পরিমান ছিল বারো হাজার একশো নব্বই কোটি টাকা
 
 ২০১১-১২ সালে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প জমার পরিমান কমে দাঁড়ায় এক হাজার ছশো আটান্ন কোটি টাকা
 
২০১২-১৩ সালে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে জমায় ঘাটতির পরিমান দুশো কুড়ি কোটি টাকা 
 
সরকারি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প টাকা রাখায় মানুষের এই অনীহার পিছনে চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্তকেই দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা। শুধু সাধারণ মানুষই নন, ভুঁইফোড় সংস্থাগুলির  বাড়বাড়ন্তে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকেও। কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজ্য স্বল্প সঞ্চয় খাতে  জমা অর্থ কেন্দ্রের কাছ থেকে ঋণ হিসাবে নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। একারণে বাম আমলে কেন্দ্রের কাছে রাজ্য যে পরিমান ঋণ পেয়েছে, পালাবদলের পর তার পরিমান অনেক কমে যায়। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে সাড়ে তিরিশ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্যের অর্থ দফতরে। 
কিন্তু, তারপরও চিটফান্ড সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তত্পরত হয়নি রাজ্য সরকার। এমনকী সেবির নির্দেশকেও সেভাবে আমল দেওয়া হয়নি। অবশেষে যোজনা কমিশনের নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে সরকার। শনিবারই জেলাশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার সম্পর্কে পূর্নাঙ্গ তথ্য দিতে বলা হয়েছে। সব তথ্য সংগ্রহ করে একত্রিত করার জন্য অর্থ দফতরের এম ব্রাঞ্চকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের পর তৈরি হবে ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার তালিকা। তালিকা তৈরির পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
 

.