মোটরবাইক কেনার জন্য লাইসেন্স নিয়ে নতুন করে জটিলতা, জল গড়াল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে
গত ২৮ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবহন দফতর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মোটরবাইকের জন্য লাইসেন্স ইস্যুতে ফের নতুন করে জটিলতা দেখা দিল। মোটর সাইকেল কিনতে গেল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবশ্যিক। নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য পরিবহন দফতর। সেই নির্দেশিকার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, অজানা নম্বর থেকে আসা 'ব্যাঙ্ক ম্যানেজার'-এর ফোন রিসিভ করে মাথায় হাত পুরকর্মীর
গত ২৮ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবহন দফতর। স্পষ্ট জানায় যে, মোটর সাইকেল বিক্রি ক্ষেত্রে ক্রেতার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সংগঠন। এই নির্দেশিকার ফলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অভিযোগ করে তারা।
আরও পড়ুন, ফোনালাপে যুবকের সঙ্গে ২ মাসের প্রেম, সুইসাইড নোটে মনের কথা লিখে গেল কিশোরী
তাদের দাবি ছিল মূলত ২টি। মা-বাবা উপস্থিত থাকলে নাবালককে বাইক বিক্রি করা যাবে, অথচ লাইসেন্স না থাকলে সাবালক বাইক কিনতে পারবেন না, পরিবহন দফতরের নির্দেশিকার এই যুক্তি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে আদালতে সাফ জানায় বাইক সংগঠনগুলি। পাশাপাশি তারা বলে, পথ নিরাপত্তার জন্য আরও কড়া পদক্ষেপ করা যায়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। ট্রাফিক পুলিশের উচিত আরও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বাইক সংগঠনগুলির এই দাবির প্রেক্ষিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন পরিবহন দফতরের নির্দেশিকায় অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।
আরও পড়ুন, ১টা আলো, ১টা পাখার ঘরে বিল এল ২ লাখ ৯৪ হাজার! রাজ্যে সিস্টেমের হাল বেআব্রু হল এঘটনায়
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই এবার আদালতের দারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের যুক্তি, দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগী সরকার। কিন্তু, আদালতে তাদের সিদ্ধান্তের সঠিক ব্যাখ্যা হয়নি। আর তাই বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল সরকার।