বিধানসভায় হাতাহাতি: কী বলছে দণ্ডবিধি
বিধানসভার ভিতরে যা হয়েছে, তাতে পুলিস বা প্রশাসনের কিছু করণীয় নেই। এমনটাই নিয়ম। কিন্তু বিধানসভার বাইরে এমন ঘটনা ঘটলে গ্রেফতার বা হাজতবাস শুধু নয়, জেলও খাটার সম্ভাবনা ছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধিই সেকথা বলছে। বিধায়ক হলেও রেহাই মিলত না। বিধানসভার মধ্যে তুমুল উত্তেজনা, মারধর, এমনকী আক্রান্ত হলেন মহিলা বিধায়কও। কিন্তু আইন ও নিয়ম অনুসারে পুলিস-প্রশাসনের কিছুই করার নেই। কিন্তু বাইরে হলেই বদলে যেত চিত্রটা। যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে, তাতে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশ কয়েকজন বিধায়কেরও।
বিধানসভার ভিতরে যা হয়েছে, তাতে পুলিস বা প্রশাসনের কিছু করণীয় নেই। এমনটাই নিয়ম। কিন্তু বিধানসভার বাইরে এমন ঘটনা ঘটলে গ্রেফতার বা হাজতবাস শুধু নয়, জেলও খাটার সম্ভাবনা ছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধিই সেকথা বলছে। বিধায়ক হলেও রেহাই মিলত না। বিধানসভার মধ্যে তুমুল উত্তেজনা, মারধর, এমনকী আক্রান্ত হলেন মহিলা বিধায়কও। কিন্তু আইন ও নিয়ম অনুসারে পুলিস-প্রশাসনের কিছুই করার নেই। কিন্তু বাইরে হলেই বদলে যেত চিত্রটা। যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে, তাতে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বেশ কয়েকজন বিধায়কেরও।
আইনজ্ঞরা জানাচ্ছেন কালকের ঘটনার নিরিখে কোন কোন ধারায় মামলা রুজু করা যায়। ৩২৩, ইচ্ছাকৃত আঘাত-এক বছর জেল বা হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা দুটোই। ৩২৪,অস্ত্রসহ ইচ্ছাকৃত আঘাত-তিন বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা দুটোই। ৫০৪, শান্তি নষ্ট করার জন্য উত্তেজিত করা-দুবছর পর্যন্ত জেল। ধারা ৫০৬,হুমকি দেওয়া-দুবছর পর্যন্ত জেল। ৫০৯, মহিলাদের প্রতি অশালীন আচরণ করা-এক বছর পর্যন্ত জেল। ৩৫৪, শ্লীলতাহানি-দুবছর পর্যন্ত জেল। ৩৫৫, সম্মানহানির জন্য আক্রমণ-দুবছর পর্যন্ত জেল। এরমধ্যে ৩২৪ ধারাটি জামিন অযোগ্য। বাকি যে কোনও ধারাতেই পুলিস কাউকে গ্রেফতার করতে পারে।
অর্থাৎ বিধানসভার বাইরে এমন ঘটনা ঘটলে, গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বা দেবলিনা হেমব্রমের উপর আক্রমণের অভিযোগে এই ধারাগুলি প্রয়োগ করতে পারত পুলিস। আর দণ্ডবিধি অনুসারে বিধায়ক হলেও গ্রেফতার, হাজতবাসের পরে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যেত।