করোনা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজনীতি করছে কেন্দ্র, তোপ দাগলেন সুদীপ
পশ্চিমবঙ্গের করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই রাজ্যে এসেছে জোড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আগমন নিয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমরা সব মানছি কেন্দ্র যা বলছে, কিন্তু কাল যা হয়েছে তা অনভিপ্রেত। আশা করব, ওরা এটা বুঝবে।" আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্র শুধু কিছু রাজ্যের সঙ্গে রাজনীতি করছে। বলেন, করোনা নিয়ে কোনওভাবেই রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে, এটাই কাম্য। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কেন গুজরাট ও তামিলনাড়ুতে পাঠানো হল না, তাই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আগমনকে কেন্দ্র করে করোনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতের মাত্রা যে আরও একধাপ চড়ল তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবারই রাজ্যে এসেছে জোড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলগুলির একটির কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর ঘুরে দেখবে। অন্যটির দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং ঘুরে দেখবে। কিন্তু এভাবে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আসা নিয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আগমন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে তোপ দেগেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। তিনি লিখেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা ১টায় ফোন করেন। এদিকে তার অনেক আগে সকাল ১০টা ১০-এই কেন্দ্রীয় দল কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে গতকালের পর আজও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ির অবস্থা ভালো হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যাচ্ছে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অন্যদিকে, রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আগমন প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু দাবি করেন, "কেন্দ্রীয় দল কোথায় যাচ্ছেন, জানি না। কোনও কথা হয়নি।" তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় দল আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় দল তাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করেনি বা তাদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি। ওদের সাথে কোনও কথা হয়নি আমাদের। তাই কেন্দ্রীয় টিম কী করছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছি।" একইসঙ্গে জানান, "আমরা চাইব, ওরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখুক। তারপর আমরা যা পেয়েছি বিভিন্ন হাসপাতালে ভিডিয়ো, কত মারা গিয়েছে, লকডাউন মানা হচ্ছে না, সেইসব ছবি-ভিডিয়ো ওই দলের কাছে পাঠিয়ে দেব। তারপর তারা দেখা করতে চাইলে আমরা যাব।" বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ইমেল মারফৎ সেসব কেন্দ্রীয় দলকে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুুন, 'বেলা ১টায় ফোন, সকাল ১০.১০-এ রাজ্য়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল!', মোদীকে কড়া চিঠি মমতার