সিবিআই চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেলেন সুদীপ্ত সহ ৬ জন
নব্বই দিনে চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। ফলে সারদা রিয়েলটি সংক্রান্ত মামলায় জামিন পেলেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন-সহ ছজন। তবে অন্য মামলায় তাঁদের হাজতবাসের মেয়াদ ফুরোয়নি। সেই কারণে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না। সোমনাথ দত্ত এদিনই মুক্তি পেয়েছেন। মনোজ নেগেল এবং অরবিন্দ সিং চৌহানও জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন। তবে জামিনের টাকার অঙ্ক নিয়ে বিচারকের নির্দেশ ঘিরে তর্কবিতর্কে সরগরম ছিল আদালত।
কলকাতা: নব্বই দিনে চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। ফলে সারদা রিয়েলটি সংক্রান্ত মামলায় জামিন পেলেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন-সহ ছজন। তবে অন্য মামলায় তাঁদের হাজতবাসের মেয়াদ ফুরোয়নি। সেই কারণে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না। সোমনাথ দত্ত এদিনই মুক্তি পেয়েছেন। মনোজ নেগেল এবং অরবিন্দ সিং চৌহানও জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন। তবে জামিনের টাকার অঙ্ক নিয়ে বিচারকের নির্দেশ ঘিরে তর্কবিতর্কে সরগরম ছিল আদালত।
মোট ৫৫টি মামলা সংযুক্ত করে সারদা রিয়েলটি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করে সিবিআই। চলতি বছরের জুন মাস থেকে সেই মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সুদীপ্ত, কুণাল, দেবযানীরা। নিয়মমাফিক নব্বই দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা না পড়লে জামিন পান অভিযুক্তরা।শনিবার সেই সময়সীমার পরেই সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ, মনোজ নাগেল, অরবিন্দ চৌহান ও সোমনাথ দত্তকে আলিপুর আদালতে হাজির করা হয়। অসুস্থতার জন্য দেবযানীকে অবশ্য এদিন হাজির করা হয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরির কাজ চলছে। নব্বই দিন যথেষ্ট সময় নয়। এর তীব্র বিরোধিতা করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। শেষপর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মণিকুন্তলা রায় অভিযুক্তদের জামিনের নির্দেশ দেন।
সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষকে মাথাপিছু এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিনে মুক্তি দেওয়া হল
মনোজ নাগেল, অরবিন্দ চৌহান ও সোমনাথ দত্তকে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিনে মুক্তি দেওয়া হল
এঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল-ই থাকবে
সিবিইয়ের তদন্তকারী অফিসার ডাকলেই হাজির হতে হবে
বিচারকের নির্দেশ শুনেই অভিযুক্তদের আইনজীবীরা একসঙ্গে প্রতিবাদে মুখর হন। তাঁদের বক্তব্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করা হয়েছে। কাজেই এত টাকা অভিযুক্তরা কেউ দিতে পারবেন না। আগেও নানা মামলায় এঁরা জামিন পেয়েছেন। কখনও এত টাকার বন্ড চাওয়া হয়নি। বিচারককে উদ্দেশ্য করে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
দেবযানীর আইনজীবী: তাহলে আমার মক্কেলের জামিন চাই না.
সোমনাথের আইনজীবী: সকলেই একই অপরাধে অভিযুক্ত। তাহলে জামিনের অঙ্কে বৈষম্য কেন?
সুদীপ্তর আইনজীবী: এই আদেশ আমরা মানব না। আপনি (বিচারক) সিবিআইয়ের মতো প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছেন.
বিচারক এরপর আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আইনজীবীদের আবেদন করতে বলেন। সেই আবেদনের জেরে আদেশ সংশোধন করেন তিনি।অভিযুক্তদের প্রত্যেককে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকার বন্ডে মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারক। সারদাকাণ্ডে সিবিআই শেষমেশ কবে চার্জশিট দেয়, এখন সেটাই দেখার।