গ্রেফতারের পর ২০ কেজি ওজন কমেছে, মৃত্যুর আশঙ্কায় আদালতে সুদীপ্ত সেন, আমি মারা গেলে ক্ষতি হবে আমানতকারীদের
এবার মৃত্যুর আশঙ্কা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় সারদা সংক্রান্ত মামলাগুলি এক জায়গায় নিয়ে আসতে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। যেভাবে তদন্তের জন্য তাঁকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে তাঁর শরীর ভেঙে গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর হলে ক্ষতি হবে আমানতকারীদের। আবেদনে লিখেছেন সুদীপ্ত সেন।
এবার মৃত্যুর আশঙ্কা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের। রাজ্যের বিভিন্ন থানায় সারদা সংক্রান্ত মামলাগুলি এক জায়গায় নিয়ে আসতে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। যেভাবে তদন্তের জন্য তাঁকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে তাঁর শরীর ভেঙে গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর হলে ক্ষতি হবে আমানতকারীদের। আবেদনে লিখেছেন সুদীপ্ত সেন।
রাজ্য পুলিসের ডিজির তত্ত্বাবধানে সারদা সংক্রান্ত সমস্ত মামলার তদন্ত করবে সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দল। কলকাতা হাইকোর্ট এমনই নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বিশেষ আদালত গঠন করে সেখানেই সারদার সব মামলা নিয়ে আসারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানালেন সুদীপ্ত সেন। একই সঙ্গে সারদা সংক্রান্ত সব মামলা এক জায়গায় নিয়ে আসারও আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা।
সুদীপ্ত সেনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে প্রায় সাড়ে চারশো মামলা হয়েছে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সুদীপ্ত সেনকে কোনও না কোনও থানায় প্রায় প্রতিদিনই নিয়ে যাওয়া হয়। তোলা হয় কোনও না কোনও আদালতে। অনেক জায়গায় তাঁকে হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের যাতায়াতের এই ধকল সহ্য করতে পারছেন না সুদীপ্ত সেন। এপ্রিল মাসে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর ১৮ থেকে ২০ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ তিনি।
সুদীপ্ত সেন তাঁর আবেদনের এক অংশে লিখেছেন, আমার মৃত্যু হলে মামলার কোনও ক্ষতি হবে না, ক্ষতি হবে আমানতকারীদের।২ নভেম্বর হাইকোর্টে যখন সারদার সব পক্ষকে নিয়ে শুনানি হয়, তখন একই আবেদন রেখেছিলেন সুদীপ্ত সেন। কিন্তু তখন মৃত্যুর আশঙ্কা করেননি তিনি।