Bankura Tiger Captured: টানা ৬ দিনের টানটান উত্তেজনার অবসান, ঘুমপাড়ানি গুলিতেই শেষপর্যন্ত কাবু জিনাত
Bankura Tiger Captured: বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন জিনাতকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে। তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে কোথায় তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি
সৌরভ চৌধুরী ও মৃত্যুঞ্জয় দাস: টানা ৬ দিনের টানটান উত্তেজনার অবসান। তিন জেলা ঘুরে অবশেষে বাঘিনি জিনতকে জালবন্দি কর বন দফতর। রবিবার বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহিতে ফাঁদে পা দেয় জিনাত। এদিন বেলা তিনটে আটান্ন মিনিয়ে জিনাতকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। সেই গুলিতেই কাবু হয় বাঘিনি।
আরও পড়ুন-রিলস বানাতে গিয়ে গলায় ফাঁস! আত্মহত্যা না কি অন্য কিছু? কিশোরীর মৃত্যুতে ধোঁয়াশা...
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন জিনাতকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে। তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে কোথায় তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি। মনে করা হচ্ছে অভুক্তি ছিল জিনাত। তাকে রেডিও কলারের মাধ্যমে তাকে ক্রমশ ট্র্যাক করছিলেন বনকর্মীরা। শেষপর্যন্ত জায়গা বুঝে তার জন্য টোপ দেন বন দফতরের কর্মীরা। তাতেই কাজ হাসিল হয়। গতকাল তাকে তিনবার ট্রাঙ্কুলাইডজ করা হয়। তার পরেও সেই পালিয়ে যায়।
জঙ্গলের পর জঙ্গল পালিয়ে বনকর্মীদের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল জিনাত। আজ চতুর্থবারের জন্য জিনাতকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। তাতেই কাজ হয়। গতকাল তিনবার গুলি করার পর বাঘিনি কিছুটা কাবু হয়ে পড়ে। সেই কথা মাথায় রেখেই আজ তাকে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়া হয়। কারণ ঘন ঘন ট্রাঙ্কুলাইজার দিল তার প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারত। গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে জিনাত। ওড়িশা থেকে বেলপাহাড়ি হয়ে এরাজ্যে ঢুকে পড়ে জিনাত। তার গলায় রেডিও কলার পরানো থাকার কারণেই তাকে এত তাড়াতাড়ি ধরা সম্ভব হল।
গতকাল তিনটে গুলি ছোড়ার পর তাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে একটি জায়গায় নিয়ে আসা হয়। তারপর আজ ভোরে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। কারণ তিনটে ঘুমপাড়ানি গুলিতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। টানা বারো ঘণ্টার বিশ্রাম দেওয়ার পর সে যে জায়গাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল তার চারদিকে নেট দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর বেলা তিনতে নাগাদ জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ২টি জেসিবি। বাঘ যে জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেল সেই জায়গাটি পর্যন্ত রাস্তা করা ফেলা হয়। বেলা তিনটে আটান্ন মিনিটে চতুর্থবার ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। তার পরই একটি ঝাঁপ দেওয়ার মতো শব্দ হয় এবং বাঘিনিটি বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে বন দফতরের কর্মীদের চিত্কারে সে আবার বনে ঢুকে যায়। এরপর ধীরে ধীরে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রায় ২০ মিনিট তাকে লক্ষ্য করার পর বাঘিনিকে খাঁচাবন্দি করে ফেলা হয়। তারপর উপর থেকে জল দিয়ে ধাস্তস্থ করা হয়। এরপরই তাকে স্ট্রেচারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বন দফতরের এক কর্মী বলেন, বাঘিনিটির স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই গ্যাপ দিয়ে অপারেশন চালানো হয়। জিনাতের শরীরিক অবস্থায় একদন ঠিক আছে। টানা ২০ দিনের অপারেশন ছিল। আমাদের লক্ষ্যই ছিল ও যেন নিরাপদে থাকে। বাংলার বন দফতর খুবই সহায়তা করেছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)