হিম্মত থাকলে সংবাদমাধ্যমকে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দিন, তোপ সুজন ও মান্নানের
বাম-কংগ্রেসের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম খবর বিকৃত করলে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনা যেত। তা না করে বিধানসভায় সাফাই দিচ্ছে শাসক দল। এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান।
গতকাল, বুধবার বাম-কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট প্রস্তাব দেননি বলে এদিন বিধানসভায় দাবি করেন পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়। এরপরই শুরু হয় হট্টগোল। বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবদুল মান্নান বলেন, ''বেনজিরভাবে 'পয়েন্ট অব ইনফর্মেশন' আনল শাসক দল। স্পিকারকে রীতিমতো ধমকে কথা বলছিলেন। কাছাকাছি থাকলে থাপ্পড়ই মেরে দিতেন। লজ্জাজনক! মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিকৃত খবর প্রকাশিত হলে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিন। মুখ্যমন্ত্রীই তো জোটের কথা বলেছেন। মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে ওনার। কয়েকদিন আগেই দু'দল ভাঙিয়ে উন্নয়নে যোগ দেওয়াতেন। আজ গোটাটাই ফাঁপা''।
মান্নানের সুরেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,''সংবাদমাধ্যম যথাযথভাবে উল্লেখ করেছে। খবরের কাগজে যা বেরিয়েছে তা কেন বেঠিক। সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনুন। আমাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনার হিম্মতও নেই। আমরা স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস আনব। আপনারা তো সেটা গ্রহণ করবেন না''।
বুধবার বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের জবাবি বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,''সিপিএম, কংগ্রেস দেশকে ধ্বংস করবে, আমি বিশ্বাস করি না। বিজেপি সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করছে। ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে''। এরপরই আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তীর উদ্দেশে তিনি বলেন,''আমাদের একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়া দরকার। বিজেপি ছাড়া বাংলার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি সত্''।
আরও পড়ুন- গৌতম দেবের কথা মিলে গেল, বাঁচতে এবার আলিমুদ্দিনে যাবেন মমতা: সৌমিত্র খাঁ