'স্পর্শকাতর বুথ' বিতর্কে কমিশনের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, চাপে বিরোধীরা

 সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি তথা অন্যান্য বিরোধীদের অভিযোগের মান্যতা দেওয়া তো দূরস্থ, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের পরিস্থিতিতে অভিযোগ খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রেও কোনও যুক্তি নেই কমিশনের। 

Updated By: Mar 15, 2019, 01:25 PM IST
'স্পর্শকাতর বুথ' বিতর্কে কমিশনের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, চাপে বিরোধীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করার দাবি তুলেছে বিরোধীরা। 'স্পর্শকাতর' বুথ বিতর্কে ধরনায় তৃণমূল মহিলা সেল। আর এই বিতর্কের মাঝেই কমিশনের নিজস্ব রিপোর্টে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেক্ষেত্রে বিজেপি তথা অন্যান্য বিরোধীদের অভিযোগ মান্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের কাছে যে তথ্য থাকা দরকার, রিপোর্ট তার উল্টো কথা বলছে। 

কমিশনের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী,
 ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে রাজ্যে স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ প্রায় ৫০ শতাংশের কম ছিল। 
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ২০১৪ সালের নির্বাচনের তুলনায় কমে গিয়েছিল আরও ২০ শতাংশ। 

আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা ও বাহিনী নিয়ে আলোচনা, শনিবার রাজ্যে উপ নির্বাচন কমিশনার
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে সংখ্যাটা ২০১৪ ও ২০১৬ সালের  পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে যাওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। 
সুতরাং, কমিশনের নিজস্ব রিপোর্ট বলছে,  আগের পরিসংখ্যানের সঙ্গে বিচার করে রাজ্যের এখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী খুব বেশি হলে  ৩০ শতাংশ  বুথকে স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করা যেতে পারে। 

 আরও পড়ুন: অবাধ ভোটে তত্পর কমিশন, লালবাজারে ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও-বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক
কমিশনের রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই যে পরিমাণ সন্ত্রাস, হিংসা, খুনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছিল, এবারে এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।    
কমিশনের পক্ষ থেকে সব জেলার ডিএমকে সর্বদল বৈঠক করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এককভাবে বসতেও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পশ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির নজির তুলে বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ, নির্মলা সীতারামন, জে পি নড্ডারা। তাঁদের দাবি,  পশ্চিমবঙ্গের সব ক’টি বুথই স্পর্শকাতর। এই যুক্তি দেখিয়ে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে গোটা রাজ্যকে ‘অতি সংবেদনশীল’ ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানায় বিজেপি। একই দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও।
তারই প্রতিবাদে রানি রাসমনি রোডে ধরনায় বসেছে তৃণমূল  মহিলা সেল। 

 

.