মুকুল-দলত্যাগে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা Suvendu-র; যা পারে করুক, পাল্টা Mukul
মুকুলের (Mukul Roy) বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে প্রয়োগের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজ করতে 'পূর্ব অভিজ্ঞতা'র ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিজেপি (BJP)। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে শুনানি শেষে বেরিয়ে স্পষ্ট করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন,'স্পিকারের সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। গত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে ৫০টি দলত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। যেমন ভুয়ো টিকা ভারতের কোথাও পাওয়া যায় না, মানবাধিকার কমিশন শাসকের শাসন কোথাও বলে না, তেমন একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয় না।'
মুকুলের (Mukul Roy) বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে প্রয়োগের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার ছিল শুনানি। রুল উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতার কাছে বেশ কিছু নথি চান স্পিকার। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় ৩০ জুলাই। স্পিকারের কাছে শুনানি চললেও তাতে আস্থা নেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,'রাজ্যসভার ভোটেও ক্রসভোট হয়েছে। একই দল, একই দলের পরিচালিত ব্যবস্থা অর্থাৎ তৃণমূল। পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কোনও আস্থা নেই। বিজেপির আইনি সেল ও সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা আইনের আশ্রয় নেব। তাতে দু'টি বিষয় থাকবে, মুকুলের অডিয়ো-ভিডিয়ো এবং ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডেল। তৃণমূলের বিধায়কের সমর্থন নিয়ে পিএসি-র মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি।'
গাজলের সিপিএম বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসের প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, 'দিপালী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ বাম পরিষদীয় দল। ২৩টি শুনানি হয়। তার পরেও নিষ্পত্তি হয়নি। পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলেছি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। অধ্যক্ষ মহাশয় ৩০ তারিখ ডেকেছেন।'
এ দিন বিধানসভায় এসেছিলেন মুকুল রায়। বেরোনার পথে তাঁর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, শুভেন্দু অধিকারী আইনি ব্যবস্থা নিলে কী করবেন? জবাবে মুকুল বলেন,'যে যা পারে করুক। যেখানে খুশি যাক। আইনি পথে যেখানে যাওয়ার যাক।'
আরও পড়ুন- BJP বিধায়কদের ইস্তফা মঞ্জুর স্পিকারের, তৃণমূল থেকে ৮ কমিটির চেয়ারম্যান