বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন শুভেন্দু! 'নিশ্চিত' গেরুয়া শিবির
শুভেন্দুকে দলে নিতে কেন এত বেশি আগ্রহ বিজেপির?
নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু কি বিজেপিতে? বিজেপি নেতৃত্ব তেমনটাই আশা করছে। দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানালেন, "উনি যদি আসতে চান, স্বাগত। দরজা খোলা আছে।" শুভেন্দু বিজেপিতে আসতে পারেন। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মুকুল রায়ও।
প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দুকে দলে নিতে কেন এত বেশি আগ্রহ বিজেপির? আসলে দুই মেদিনীপুর এবং জঙ্গলমহল ও আশপাশের জেলায় শুভেন্দুর দাপট যথেষ্ট। শুভেন্দু এলে পর প্রায় ৩৫টি বিধানসভা আসন বিজেপির নিশ্চিত। এর পাশাপাশি শুভেন্দু এই মুহূর্তে যা করছেন ও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে, তাতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব একপ্রকার নিশ্চিত যে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছেন শুভেন্দু। বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার মতে, "অধিকারী পরিবারই তৃণমূলে চিরকালই বঞ্চিত। তাই শুভেন্দুর মত ভালো ছেলে এলে, তাতে দল লাভবান হবে।"
প্রসঙ্গত, গতকালই দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ''আমরা দরজা বড়ো করে খুলে রেখেছি সবাইকে নেওয়ার জন্য। ওনারা যদি কাউকে পাঠিয়ে দেন আমরা দলে নেব। একজন রাজনীতিবিদ রাজনীতি করতে চাইলে বিজেপি সুযোগ দেবে।'' উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই 'আমরা দাদার অনুগামী' ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারী একাধিক সভা করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেইসব সভায় একবারও তৃণমূল সুপ্রিমের নাম নিচ্ছেন না শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও শুভেন্দুকে নিয়ে একের পর এক তীর্যক মন্তব্য করছেন। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীও কারও নাম না করে মন্তব্য করেন, "প্যারাস্যুটে নামিনি। লিফটে উঠিনি। সিঁড়ি ভেঙে উঠেছি। ছোটলোকদের নিয়ে কথা বললে আমি তার উত্তর দিই না। আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, কেউ কেউ অতীত ভুলে যায়।'' সবমিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জমে উঠেছে কোন্দল। আর সেই সুযোগে ফায়দা লুঠতে চাইছে বিজেপি।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা 'বেঁধে দিল' কমিশন!