বাড়িতে ছড়িয়ে স্বস্তিকচিহ্ন-ত্রিশুল, Saltlake কাণ্ডে মায়ের তন্ত্রসাধনার বলি ছেলে!
সল্টলেকের মত অভিজাত এলাকায় কুসংস্কারের থাবা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের (Forensic) দাবি, এ জে ব্লকের ওই বাড়ি থেকে মিলেছে তন্ত্র আচারের হদিশ
নিজস্ব প্রতিবেদন: মায়ের তন্ত্রসাধনার বলি ছেলে? সল্টলেকের (Saltlake) যুবক খুনে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সল্টলেকের মত অভিজাত এলাকায় কুসংস্কারের থাবা। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের (Forensic) দাবি, এ জে ব্লকের ওই বাড়ি থেকে মিলেছে তন্ত্র আচারের হদিশ। বাড়ির ভিতরে পাওয়া গিয়েছে কয়েকটি নকশা। সেগুলি তন্ত্র সাধনার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাড়ির বাইরে চারদিকে একাধিক স্বস্তিক চিহ্ন, ও ত্রিশুল পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
ফরেনসিক সূত্রে খবর, হলঘরে চেয়ারে বসিয়ে দেহ পোড়ানো হয়। বাড়ির পিছন থেকে পাওয়া গিয়েছে পোড়া কাঠের গুঁড়ো। গন্ধ আটকাতে কর্পূর, ঘি, ধুনো জাতীয় জিনিস পোড়ানো হয় বলেও অনুমান। যদিও পুলিসের অন্য অংশের দাবি, তন্ত্র সাধনাকে সামনে রেখে পিছনে আরও বড় কোনও অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হতে পারে।
আরও পড়ুন: Suvendu সহায়তা কেন্দ্রে উড়ল BJP পতাকা, শনিবার নিজের গড়েই যোগদান!
সল্টলেকের মত অভিজাত এলাকায় কীভাবে তন্ত্রসাধনা? উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই যে প্রশ্নগুলি উঠেছে,
* তন্ত্র সাধনার জেরে ছেলেকে খুন করা হয়ে থাকলে তান্ত্রিক কে?
* বিশেষ কিছু কার্যসিদ্ধির জন্য তন্ত্র সাধনা করা হয়। উদ্দেশ্য কী?
* মহেন্সারিয়া দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার কথা জানত মেয়ে?
সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।
গত বৃহস্পতিবার সল্টলেকের এ জে ব্লকের বাড়ি থেকে কঙ্কাল উদ্ধার হয়। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। বাড়ির মালিক অনিল মহেন্সারিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরই স্ত্রী গীতা মহেন্সারিয়া ও ছোট ছেলে বিদুরকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর অভিযোগ ছিল, বড় ছেলে অর্জুনকে খুন করে গুম করা হয়েছে। গন্ডগোলের জেরে দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কিছুতেই তিনি বড় ছেলের খোঁজ পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা হেস্টিংসে, লরির ধাক্কায় স্কুটি নিয়ে গর্তে পড়ে মৃত্যু তরুণীর
পুলিস সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে অনিলবাবুর ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। তখন গীতাদেবী বাড়িতে তান্ত্রিক ডাকেন। ব্যবসায় খানিক উন্নতি হলেও কয়েকদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে রাজারহাটে থাকতে শুরু করেন অনিল মহেন্সারিয়া। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান গীতাদেবী। এরপর অনিলবাবু জানতে পারেন তাঁদের সঙ্গে বড় ছেলে নেই। তকনই অভিযোগ করেন পুলিসে।