Malda: হাতে মাত্র ৩৩ সেকেন্ডের ফুটেজ, পুলিসের রুদ্ধশ্বাস অপারেশনে উদ্ধার ৭ বছরের স্কুল পড়ুয়া
Malda: দুপুর দেড়টার নাগাদ অপহৃত বাবার মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে থ্রেট মেসেজ আসে
রণজয় সিংহ: 'মা ডর করবি না। মন শক্ত করো।' দুপুর আড়াইটায় অপহরণকারীর ফোন পেয়ে অপহৃত ৭ বছরের মেয়েকে অভয় দিয়েছিলেন বাবা। আর সেই ফোনের সূত্র ধরেই পুলিসকর্তারা অপহরণকারীদের ধাওয়া করে উত্তর দিনাজপুরে করণদিঘী থেকে গ্রেফতার করল পুলিস। উদ্ধার হল স্কুল পড়ুয়া।
আরও পড়ুন-ভুরি ভূরি গোল নষ্ট! তবুও দিমির সৌজন্যে তিন পয়েন্ট, টেবলে উঠল লাল-হলুদ
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মালদার পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, রূদ্ধশ্বাস ৪ ঘন্টার লড়াই। পুলিসের টিম একজোট হয়ে কাজ করেছে। যার ফলে অপহৃত নাবালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুপুর ১১-১০মিনিট নাগাদ সাত বছরের আফরোজা খাতুন অপহৃত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে মোটর বাইকে চেপে ২ দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে থেকে আফরোজা খাতুনকে অপহরণ করে। ১১-৩০মিনিটে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসের কাছে খবর যায়। পুলিস তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে।
মাত্র ৩৩সেকেন্ডের ফুটেজ দেখে পুলিস নিশ্চিত হয় শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর এলাকার নানাস্থানে লাগানো সিসিটিভি চেকিং শুরু হয়। তাতে নম্বরহীন মোটর বাইক যেমন দেখা যায় তেমন মোটরবাইকে রং। দুষ্কৃতীদের মাথার হেলমেটের রং এবং দুষ্কৃতীরা কী ধরনের জ্যাকেট চিহ্নিত করা হয়। ওইসব তথ্য পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার ও উত্তরদিনাজপুর জেলার থানাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় ন্যাকা চেকিং এলাকা জুড়ে।
অপহরণের কারণ জানতে অপহৃত নাবালিকার বাবাকে জেরা করেন তদন্তকারী পুলিসকর্তারা। তবে কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। দুপুর দেড়টার নাগাদ অপহৃত বাবার মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে থ্রেট মেসেজ আসে। সেই অপরিচিত নম্বরটি ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিস। তাতে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের লোকেশন পাওয়া যায়। এরপর বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। আর সেই মোতাবেক পুলিস টিমকে সর্তক করা হয়।
পুলিস সুপার জানান দুপুর আড়াইটার সময় অপহরণকারীর ফোনে নিশ্চিত করে জানা যায় অপহরণকারীরা বাইকে করে যাচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের ট্রাফিক পুলিসকেও বিষয়টি জানানো হয়। শুরু হয় চেকিং। তাতে ধীর হয়ে যায় চলন্ত গাড়ির গতি। এরপর পথ বদল করে অপহরণকারীরা। কিন্তু ততক্ষণে পুলিসের নজরদারি জোরাল হয়। এরপরই করণদিঘী থানার ট্রাফিকের হাতে ধরা পড়ে অপহরণকারীরা। পুলিস সুপার জানান পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে নাবালিকাকে বাইক থেকে ছুড়ে ফেলে অপহরণকারীরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয় অপহরণকারী মনসুর আলম(৩০) ও এজাজ আহমেদ। ধৃতদের বাড়ি অপহৃত নাবালিকার গ্রামে। এজাজ আহমেদের এলাকায় ঔষধের দোকান রয়েছে। তাছাড়া জমির ব্যবসা করে। মূলত মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে এই অপহরণ বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিস। এই অপহরণকারীরা কোন গ্যাং এর সাথে যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শর্টার আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের আরো জেরা করার জন্য ১৫দিনের পুলিসে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান পুলিস সুপার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)