রোজভ্যালিকাণ্ডে তাপসকে জেরায় উঠে এল একাধিক তৃণমূল নেতার নাম
সারদার পর রোজভ্যালি কাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে শাসক দল। মতো রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তেও উঠে আসছে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম। তৃণমূল সাংসদ তাপস পালকে ম্যারাথন জেরায় জানা গেছে, রোজভ্যালির ব্যবসা বাড়াতেও সাহায্য করেছিল একাধিক তৃণমূল নেতা।
ওয়েব ডেস্ক: সারদার পর রোজভ্যালি কাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে শাসক দল। মতো রোজভ্যালিকাণ্ডের তদন্তেও উঠে আসছে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম। তৃণমূল সাংসদ তাপস পালকে ম্যারাথন জেরায় জানা গেছে, রোজভ্যালির ব্যবসা বাড়াতেও সাহায্য করেছিল একাধিক তৃণমূল নেতা।
জেরায় তৃণমূল সাংসদ নিজেই স্বীকার করেছেন, গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার বৈঠকের কথা। তাপস পাল নিজে দাবি করেছেন, রোজভ্যালি যে চিটফান্ড সংস্থা তা তিনি জানতেন না। তাহলে তাঁর দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে গৌতম কুণ্ডুর বৈঠক হয় কি নিয়ে সেবিষয়ে নিরুত্তর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ।
প্রসঙ্গত, বুধবার রোজভ্যালি কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ তাপস দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। রোজভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু কমিউনিকেশন নামক একটি সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। গত মার্চে তাপস পালের বাড়িতেও তল্লাসি চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এর আগে তাপস পাল নিজেই স্বীকার করেছেন ওই সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে মাসিক এক লক্ষ টাকা করে পেতেন তিনি।
রোজভ্যালি গোষ্ঠীর একটি ছবিতে অভিনয়ও করেন তাঁর মেয়ে। রোজভ্যালি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাপস পালের স্ত্রীও। রোজভ্যালি থেকে আর কী কী ভাবে তিনি লাভবান হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখতেই তাঁকে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
মাস তিনেক আগে রোজ ভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে নেমে এক বার দক্ষিণ কলকাতায় তাপস পালের বাড়িতে আচমকা হানা দিয়েছিলেন সিবিআই অফিসারেরা। সে সময়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে খবর পেয়ে আসেন।