আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে দশ লক্ষ গুণ বেশি খুন-ধর্ষণ হয়েছে, অপর্ণাদের পাল্টা তথাগতর
বিদ্বজ্জনেদের চিঠির নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলেও মনে করেন তথাগত রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসহিষ্ণুতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন ৪৯জন বুদ্ধিজীবী। তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তথাগত রায়। একইসঙ্গে অপর্ণা সেনদের বিঁধতে বিতর্কিত মন্তব্যও করে বসলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। বললেন, আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে দশ লক্ষ গুণ বেশি খুন হয়েছে। আমরা বাঙালরা এর সাক্ষী।
বিদ্বজ্জনেদের চিঠির নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলেও মনে করেন তথাগত রায়। একইসঙ্গে আর্থিক লেনদেন হতে পারেও বলেও ইঙ্গিত দিলেন। মেঘালয়ের রাজ্যপালের কথায়,'এটা গণতান্ত্রিক দেশ। উত্তর কোরিয়া বা সৌদি আরব নয়। যে কেউ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারেন। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বা বুদ্ধিমানরা চিঠি লিখলে আশা করা যায়, তাতে ভারসাম্য থাকবে। জয় শ্রী রাম রণনাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার নিন্দা করেছেন। কিন্তু আল্লাহু আকবরও তো যুদ্ধের ধ্বনি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে একদেশদর্শিতা কেন? এর পিছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে'।
তথাগত আরও বলেন, 'সরাসরি যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁদের কথা আলাদা। কিন্তু এরা নিরপেক্ষতার ভেক ধরে রয়েছেন। নিজেদের নিরপেক্ষ হিসেবে দেখাচ্ছেন। জয় শ্রী রামের চেয়ে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে দশ লক্ষ গুণ বেশি খুন ও ধর্ষণ হয়েছে। আমরা সকলেই সাক্ষী। নিজেদের বাঙাল বলি। এরা কাদের পৃষ্ঠপোষক এরাই বলতে পারবেন। কারও পৃষ্ঠপোষকতা থাকা অসম্ভব নয়'।
অতিসম্প্রতি দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪৯জন বুদ্ধিজীবী। ওই এই চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সই করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায়-সহ আরও অনেকে। তবে বিদ্বজ্জনেদের অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, এমন কোনও রিপোর্ট নেই সরকারের কাছে। অভিযোগের পক্ষে পোক্ত ভিত্তিও নেই। দেশের সংবিধানের মূল্যবোধ বাঁচিয়ে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশে কারফিউ জারির মতো পরিস্থিতি কোথাও নেই।
আরও পড়ুন- কী সব্যসাচী কিছু বলার আছে? প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়কের কাছে জানতে চাইলেন মমতা