আজ শহরে ট্যাক্সি ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে আজ একদিনের প্রতিকী ধর্মঘটে নামল শহরের সবকটি ট্যাক্সি ইউনিয়ন। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় কাল ৩৩ হাজার ট্যাক্সির প্রায় কোনওটাই পথে নামেনি আজ। এর আগে পুলিসি জুলুমের প্রতিবাদে বুধবার লালবাজার অভিযান করে ইউনিয়নগুলি।

Updated By: Apr 19, 2012, 09:10 AM IST

একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে আজ একদিনের প্রতিকী ধর্মঘটে নামল শহরের সবকটি ট্যাক্সি ইউনিয়ন। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় কাল ৩৩ হাজার ট্যাক্সির প্রায় কোনওটাই পথে নামেনি আজ। একগুচ্ছ দাবিদাওয়া নিয়ে আজ একদিনের প্রতিকী ধর্মঘটে নামল শহরের সবকটি ট্যাক্সি ইউনিয়ন। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় কাল ৩৩ হাজার ট্যাক্সির প্রায় কোনওটাই পথে নামেনি আজ। ট্যাক্সি ধর্মঘটের জেরে সকাল থেকেই দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন, বিমানবন্দর, ধর্মতলাসহ শহরের অন্যত্রও ট্যাক্সি না পেয়ে অসুবিধায় পড়েন বহু যাত্রী। পরিস্থিতি সামলাতে হাওড়া স্টেশনে সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চলছে কিছু এসি ট্যাক্সিও। কিন্তু এই ট্যাক্সিগুলি যাত্রীদের কাছে বিপুল পরিমাণ ভাড়া চাইছে বলে অভিযোগ। এর আগে পুলিসি জুলুমের প্রতিবাদে বুধবার লালবাজার অভিযান করে ইউনিয়নগুলি। ফিয়ার্স লেনে পুলিসের ব্যারিকেড তাদের সেই অভিযান রুখে দেয়। আপাতত একদিনের প্রতীকী ধর্মঘটে নেমেছেন তারা। কিন্তু তাদের দাবিদাওয়া না মেনে নিলে, আগামী ৭ মে থেকে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে ট্যাক্সি সংগঠনগুলি।
এর আগে পুলিসি জুলুমের প্রতিবাদে বুধবার লালবাজার অভিযান করে ইউনিয়নগুলি। ফিয়ার্স লেনে পুলিসের ব্যারিকেড তাদের সেই অভিযান রুখে দেয়। আপাতত একদিনের প্রতীকী ধর্মঘটে নেমেছেন তারা। কিন্তু তাদের দাবিদাওয়া না মেনে নিলে, আগামী ৭ মে থেকে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে ট্যাক্সি সংগঠনগুলি।
মূলত যে দাবিগুলিতে বৃহস্পতিবারের ধর্মঘট তার মধ্যে রয়েছে..
 
১) অবিলম্বে ট্যাক্সির ভাড়া বৃদ্ধি
২) পুলিসি জুলুম ও হয়রানি বন্ধ করা
৩) ট্যাক্সিতে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে আয় বৃদ্ধির অনুমতি
৪) ২০ শতাংশ নাইট সার্ভিস সারচার্জ চালু করা
৫) দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আইপিসি ৩০২ ধারা বিলোপ
৬) ৪ এর বদলে ৫ যাত্রী বহনের অনুমতি
৭) সরকারি উদ্যোগে ধোঁয়া পরীক্ষা কেন্দ্র চালু
৮) প্রাইভেট গাড়ির শাটল খাটা বন্ধ করা
৯) সরকারি উদ্যোগে প্রি-পেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ড
এবং
১০) ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো লাইসেন্সে হয়রানি বন্ধ করা।

১৮ ফেব্রুয়ারি ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার মোট পাঁচ হাজার ট্যাক্সি মালিক ও চালকের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। ৭ দিনের মধ্যে যাবতীয় অভিযোগ নিস্পত্তির আশ্বাস দেন তিনি। তারপর কেটে গেছে ২ মাস। দাবি মেটেনি। উপরন্তু কথা বলতে তীব্র অনীহা দেখাচ্ছেন মন্ত্রী থেকে আমলারা। পাশাপাশি বেড়েছে পুলিশি জুলুম। এই অভিযোগেই একযোগে ধর্মঘটে নেমেছে সবকটি ট্যাক্সি ইউনিয়ন।
 
 
 
 

.