`ঘনিষ্ঠ` ছবি তুলতে বাধা দেওয়ায় খুন শিক্ষক-অভিনেতা
শারীরিক সম্পর্কের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করাই ছিল উদ্দেশ্য। আর তাতে বাধা দিতে গিয়েই খুন হতে হয় শিক্ষক, অভিনেতা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তীকে। সমকামী ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। ধৃত চারজনের ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে
শারীরিক সম্পর্কের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করাই ছিল উদ্দেশ্য। আর তাতে বাধা দিতে গিয়েই খুন হতে হয় শিক্ষক, অভিনেতা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তীকে। সমকামী ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। ধৃত চারজনের ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে
গত মঙ্গলবার, যাদবপুর থানার রিজেন্ট পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পেশায় শিক্ষক এবং অভিনেতা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর দেহ। পুলিস তদন্তে নেমে বুঝতে পারে।
আততায়ীরা ইন্দ্রজিতের পরিচিত।
জিনিসপত্র লুঠ করা আততায়ীদের উদ্দেশ্য ছিল না।
চওড়া লিউকোপ্লাস্ট নাক এবং মুখের ওপর আটকে দেওয়ায় শ্বাস রুদ্ধ হয়ে মারা যান ইন্দ্রজিৎ ।
ঘরে ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলে।
আততায়ীরা পেশাদার নয়।
এরপরই ইন্দ্রজিতের সম-মানসিকতার সঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। নিহতের খোওয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেও খোঁজ খবর শুরু হয়।
যে পথে রহস্যের সমাধান-
তদন্তে নেমে ইন্দ্রজিতের সঙ্গীদের মাধ্যমে জানা যায় পাভেল সাহার নাম। পাভেল ইন্দ্রজিতের ঘনিষ্ঠ। ঘটনার সন্ধেয় পাভেলের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন এবং ইন্দ্রজিতের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন এক জায়গায় পাওয়া যায়।
শুক্রবার রাতে পাভেল সাহা এবং তার তিন সঙ্গী সুবির সাহা, সুদীপ্ত এবং অভিজিতকে গ্রেফতার করে পুলিস।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, গত রবিবার পাভেল ইন্দ্রজিতের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ছিল। পাভেল ইন্দ্রজিতকে জানায়, মঙ্গলবার সে আরও কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ফ্ল্যাটে আসবে। সেই অনুসারে মঙ্গলবার পাভেল সহ সাতজন যায় ইন্দ্রজিতের ফ্ল্যাটে। কিন্তু পাভেলের পরিকল্পনা ছিল, যৌন সম্পর্কের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে পয়সা আদায় করা। ইন্দ্রজিতের ঘরে প্রথমে পাভেল সহ তিনজন ঢোকে। পরে আসে আরও চারজন। ছবি তুলতে ইন্দ্রজিত বাধা দিলে, সবাই মিলে চেপে ধরে ইন্দ্রজিতের মুখে লিউকোপ্লাস্ট আটকে দেয়। লিউকোপ্লাস্টটি চওড়া হওয়ায় আটকে যায় ইন্দ্রজিতের নাক,মুখ। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ইন্দ্রজিতের।
অভিযুক্ত পাভেল এবং তার সঙ্গীদের থেকে ইন্দ্রজিতের খোওয়া যাওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং লিউকোপ্লাস্ট উদ্ধার করেছে পুলিস। বাকি তিন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাসি চলছে।