নিজস্ব প্রতিবেদন: রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিনাচিকিত্সায় দিনভর ফেলে রাখা হয়েছিল ওই রোগীকে। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কেন্দ্রে চিটফান্ড সরকার চলছে, পুরোটাই ভাঁওতাবাজি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


মৃতার পরিজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায়। ভাঙচুরেরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য এসএসকেএম চত্বরে বাড়তি পুলিসও মোতায়েন করা হয়।


মৃতার নাম পূর্ণিমা দাস। বছর ৩৩-এর ওই যুবতী গড়িয়ার বাসিন্দা। গত দু'বছর ধরে তাঁর ব্রেন টিউমার হয়েছিল। শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে পরিবারের লোকজন এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসেন।


আরও পড়ুন: সল্টলেকে বড়সড় ডাকাতির ছক, বানচাল পুলিসি তত্পরতায়


পরিবারের দাবি, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁরা পূর্ণিমাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁদের কাছে বিধায়কের সুপারিশপত্রও ছিল। তা সত্ত্বেও ওই যুবতীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা চিকিত্সায় ফেলে রাখা হয়।


পরিবারের অভিযোগ, বেড তো পাওয়া যায়নি। এমনকী, প্রাথমিক চিকিত্সাও করা হয়নি। অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল। তাও দেওয়া হয়নি। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণিমার পরিজনদের ক্ষোভের মাত্রা চড়তে থাকে।


আরও পড়ুন: লটারি প্রতারণায় আরও জোরালো দাউদ-যোগ, কলকাতার টাকা পাকিস্তানে পাঠাত ডি কোম্পানি


রাত দশটার পর অনেক চেষ্টা করে পরিবারের লোকেরা পূর্ণিমার জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তখন আর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েনি। কারণ, রাত দশটা নাগাদই মারা যান পূর্ণিমা।


এর পরই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত চিকিত্সক, হাসপাতাল কর্মী, নার্সদের বচসা বাঁধে। পরিবারের লোকেরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব হন। হাসপাতালের তরফেও সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।


আরও পড়ুন: ক্যাব চালকের কাছে হেনস্থার শিকার পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত


এর জেরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। হাসপাতালে ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। গাফিলতি প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।