চাপা আতঙ্কে ভোট-দিন যাপন নগর কলকাতার
চাপা আতঙ্কে ছোট লালবাড়ি দখলের ভোট হল কলকাতায়। কোথাও ভোট দিতে গিয়ে শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের হুমকির মুখে পড়েছেন ভোটাররা। কোথাও আবার হুমকি মিলেছে ভোট দিলে ভাঙচুর হবে বাড়ি। এসেছে বুথ দখল আর ছাপ্পাভোটের অভিযোগ। বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমি। ভোট দিতে গিয়ে নিজের সিরিয়াল নম্বরে ভোটটা দিতে পারেননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। আর তারপরই...
ব্যুরো: চাপা আতঙ্কে ছোট লালবাড়ি দখলের ভোট হল কলকাতায়। কোথাও ভোট দিতে গিয়ে শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের হুমকির মুখে পড়েছেন ভোটাররা। কোথাও আবার হুমকি মিলেছে ভোট দিলে ভাঙচুর হবে বাড়ি। এসেছে বুথ দখল আর ছাপ্পাভোটের অভিযোগ। বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমি। ভোট দিতে গিয়ে নিজের সিরিয়াল নম্বরে ভোটটা দিতে পারেননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। আর তারপরই...
একটু অন্যরকম হলেও হুমকির ছবিটা প্রায় এক পিকনিক গার্ডেনের সাতষট্টি নম্বর ওয়ার্ডে।
অভিযোগ বহিরাগতরা এসে হুমকি দিচ্ছে। সেরকমই একজনের মুখোমুখি হয় চব্বিশ ঘণ্টাও।
আর মুকুন্দপুর এলাকা শনিবারও বেরোতে পারেনি আতঙ্কের গ্রাস থেকে।
ভোটের দিনও ছিট কালিকাপুর এলাকায় দাপিয়ে বেড়াল শাসক দলের বাইকবাহিনী। বাম এবং বিজেপির ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুরেরও অভিয়োগ উঠেছে। চলেছে মারধরও।
পঁয়ত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলডাঙা হাইস্কুলে ছবিটা কিন্তু একদম আলাদা। বাইরে থেকে কিছু বোঝার উপায় নেই। কিন্তু, ভিতরে কী হচ্ছে, বোঝা গেল ভোটারের সঙ্গে কথা বলেই।
গার্ডেনরিচের বাতিকল ফার্স্ট লেনে মারধর করে বের করে দেওয়া হয় কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিস। পরিস্থিতি সামলাতে করা হয় লাঠিচার্জ। কাঁকুরগাছিতে বুথ জ্যামের অভিযোগ তোলায় মার খেলেন ভোটার ও বিরোধী এজেন্টরা।
খিদিরপুরে বার্নাবাস স্কুলে বসতেই দেওয়া হয়নি বিরোধী দলের এজেন্টদের।
তৃণমূল অবশ্য বলেছে অশান্তি পাকিয়েছে বিরোধীরাই। চার নম্বর বরোর অধিকাংশ বুথই কার্যত সকাল নটার পর থেকেই চলে যায় শাসকদলের দখলে। বহু জায়গায় দেখাই হয়নি পরিচয়পত্র। আর এভাবেই চাপা আতঙ্কে শেষ হল বিধানসভা ভোটের সেমিফাইনালের লড়াই।