SSC: ' ইংরেজি বুঝতে পারব না', হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে টেট পরীক্ষকের যোগ্যতা
'তিনি কি আদৌও চাকরি করার যোগ্য'? শিক্ষা দফতরকে খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ ডি চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ১৯১১ জন।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারা। শীর্ষ আদালতে যখন মামলা করলেন এসএসসি-র ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী, তখন টেট পরীক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কি আদৌও চাকরি করার যোগ্য? খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিলেন শিক্ষা দফতরকে।
গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছিল! হাইকোর্টে এসএসসির স্বীকারোক্তির পর ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ৩ সপ্তাহের মধ্য়ে বেতন ফেরত। এরপর পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন চাকরিহারা। প্রশ্ন তোলেন, 'বিদ্যালয়ে শ্রম দিয়েছেন। তাহলে কেন বেতন ফেরত দেবেন'? বেতন ফেরতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
তাহলে কেন সুপ্রিম কোর্টে মামলা? এসএসসি-র গ্রুপ ডি-তে চাকরি বাতিলের নির্দেশ কিন্তু বহাল রেখেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। একতরফা রায় আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছিলেন মূল মামলাকারী লক্ষ্মী টুংগা। আগামী সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: SSC Scam: ঘুরপথে কুন্তল-মানিক আর্থিক লেনদেন! মিলল সূত্র, দাবি তদন্তকারীদের
এদিকে হাইকোর্টে এদিন হাজিরা দিলেন প্রাথমিক টেটের পরীক্ষকরা। সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনে ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা কার্যত নজিরবিহীন। সূত্রের খবর, ২০ জন পরীক্ষক জানিয়েছেন, 'কোনও অ্য়াপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি'। একজন আবার বলেন, 'বাংলায় বলুন, ইংরেজি বুঝতে পারব না'। ওই টেট পরীক্ষকের যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচাপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
'৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন'! নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এখন সিবিআই হেফাজতে মানিক ঘনিষ্ট তাপস মণ্ডল। সঙ্গে নীলাদ্রি ঘোষ ও কুন্তল ঘোষও। কতদিন? ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত।