রাজীবকে খুঁজে বার করতে এবার ১৪ সদস্যের বিশেষ দল গঠন করল CBI
মূলত দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ ব্যুরো থেকে ১৪ জন আধিকারিক বুধবার এই বিশেষ টিমে নিয়োগ হন। এই দলে দুজন এসপিও রয়েছেন। সিডিও কমপ্লেক্সে এদিন সকালেই তাঁরা এই বিশেষ ‘অপারেশন’-এ নিযুক্ত হন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডিজিপি-র তরফ থেকে চিঠির উত্তর পেয়েই রাজীব কুমারকে খুঁজে পেতে মরিয়া সিবিআই। রাজীবকে খুঁজে পেতে গঠিত হল সিবিআই-এর স্পেশাল টিম।
মূলত দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ ব্যুরো থেকে ১৪ জন আধিকারিক বুধবার এই বিশেষ টিমে নিয়োগ হন। এই দলে দুজন এসপিও রয়েছেন। সিজিও কমপ্লেক্সে এদিন সকালেই তাঁরা এই বিশেষ ‘অপারেশন’-এ নিযুক্ত হন। মঙ্গলবার ডিজিপির চিঠি হাতে পাওয়ার পর থেকেই রাজীব কুমারের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করে সিবিআই। এদিন রাতে বিশেষ বৈঠকেও বসেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য বুধবার সকালেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে যান জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। ১৪ জনের এই দলের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, রাজীব কুমারের অন্তর্ধান রহস্য আর তাঁকে খুঁজে পেতে সিবিআই আধিকারিকদের একাধিক প্রয়াস- গোটাটাই এখন টানটান চিত্রনাট্যের চেহারা নিয়েছে। এরই মধ্যে অনুঘটকের কাজ করে সিবিআই-কে লেখা ডিজিপি-র চিঠি। রাজীব কুমার কোথায় থাকতে পারেন, তা জানিয়ে সিবিআই-এর চিঠির উত্তর দেন ডিজিপি। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, “ছুটির আবেদনপত্রে রাজীব কুমার জানিয়েছেন, এই ক’টা দিন তিনি ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিটে নিজের বাসভবনে থাকবেন।”
প্রসঙ্গত, গত রবিবার সিবিআই-এর তরফে ডিজিপিকে দুটি চিঠি পাঠানো হয়। প্রথম চিঠিটির উত্তর সোমবারই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। তবে দ্বিতীয় চিঠির কোনও উত্তর মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, রাজীব কুমার কোথায় রয়েছেন, তাঁর গতিবিধি সম্পর্কে দ্বিতীয় চিঠিতেই রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
কিন্তু এই দ্বিতীয় চিঠির কোনও উত্তর না মেলায় মঙ্গলবার সকালে আরও একবার ডিজিপি-কে স্মরণ করিয়ে দেয় সিবিআই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই চিঠির উত্তর দিয়ে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ছুটির দিনগুলিতে রাজীব কুমার ৩৪ নম্বর পার্কস্ট্রিটের বাসভবনে থাকবেন বলেই উল্লেখ করেছিলেন।
কলকাতাতেই রয়েছেন রাজীব কুমার! DGP-র চিঠি পেয়ে মনে করছে CBI
যদিও হাইকোর্টের তরফে রাজীব কুমারের ওপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পরই রাজীব কুমার এই বাসভবনে পৌঁছে যায় সিবিআই টিম। দু’জন আধিকারিক ঢোকেন তাঁর বাড়িতে। কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বন্ধ তাঁর মোবাইল ফোন। এমনকি দেহরক্ষীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ডিজিপির চিঠি পেয়ে সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, কলকাতাতেই রয়েছেন রাজীব কুমার।