রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহ আসলে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রকোপ, বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট

চৈত্রেই তাপমাত্রার পারদ পৌছে গেছে ৪০ কোঠায়। দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায় জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। এরইমধ্যে আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে আবহাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রকোপ পড়তে চলেছে ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না কলকাতাও।

Updated By: Apr 1, 2014, 04:43 PM IST

চৈত্রেই তাপমাত্রার পারদ পৌছে গেছে ৪০ কোঠায়। দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলায় জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। এরইমধ্যে আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে আবহাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রকোপ পড়তে চলেছে ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ছে না কলকাতাও।

বিশ্ব উষ্ণায়নে বিপদ ক্রমেই বাড়ছে। গলছে হিমবাহ। বাড়ছে জলস্তর। এরপর চেষ্টা করলেও পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যাবে না আগের পরিবেশ। সোমবার জাপানের ইওকোহমায় প্রকাশিত বিশ্ব উষ্ণায়ন সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়বে ভারতেও।

রাজেন্দ্র পাচৌরি বললেন, এই পরিবেশ মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নাহলে সঙ্কট বাড়বে।

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ভারত এবং চীন সহ এশিয়ার একাধিক দেশে তীব্র খাদ্য সংকট ও জল সংকট তৈরি হবে। সম্ভাবনা থাকবে আকস্মিক বিপর্যয়ের। প্রভাব পড়বে কৃষিক্ষেত্রেও। ভারত-পাকিস্তান-চিনের মত দেশে মার খাবে ধান-গম-ভুট্টার চাষ। ২০৫০ সালের মধ্যে দশ শতাংশ কৃষিজমিতে ২৫ শতাংশ ফলন কমার আশঙ্কা রয়েছে। জলস্তর নেমে যাবে মাটির অনেক নীচে। এরফলে খাদ্যসঙ্কট তৈরির আশঙ্কা থাকছে।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে হিমালয়ের অনেক হিমবাহ গলতে শুরু করায় বন্যার আশঙ্কা থাকবে। একুশ শতকের শেষের দিকে সমুদ্রের জলস্তর ২৬ থেকে ৮২৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। সংকটে পড়বে মুম্বই-ঢাকা। প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

এখন পঞ্চাশ বছর ধরলে এশিয়ার জনসংখ্যা আরও বাড়বে। দ্বিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়বে সমুদ্রের জলস্তর। বাড়বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে না পাশ্চাত্যও। ব্রিটেনের বন্যা বা ক্যালিফোর্নিয়ায় খরা বিশ্ব উষ্ণায়নেরই ফল বলে মনে করছেন গবেষকরা।

ক্লাইমেট চেঞ্জ 2014 ইমপ্যাক্টস অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি শীর্ষক ৪৯ পাতার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যদি এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না আসে তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের থাবা আটকানো যাবে না। অচিরেই ঘনিয়ে আসবে মহাসঙ্কট।

.