মিছিল, পাল্টা মিছিলে সরগরম রাজ্য রাজনীতি
মিছিল, পাল্টা মিছিলে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাস্তায় নামল শাসক দল। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে রাস্তার দখল নিল বিরোধী বামেরা। মিছিলে আছেন গৌতম দেবও। মিছিলে ছাত্র-যুবাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দুটি মিছিলই শুরু হয়েছে বিকেল ৫টায়।
মিছিল, পাল্টা মিছিলে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার যাদবপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাস্তায় নামল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। গাঙ্গুলিবাগান থেকে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা থাকলেও, মিছিলের যাত্রাপথ গড়িয়া পর্যন্ত বাড়ালো হতে পারে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইহাটিতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে রাস্তার দখল নিল বিরোধী বামেরা। দু'টি মিছিলই শুরু হয় বিকেল ৫টায়।
১৯ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশে জনজোয়ার আর ২৮ ফেব্রুয়ারির সফল ধর্মঘটের পর বেশ চনমনে বিরোধী শিবির। ধর্মঘটের দিন তৃণমূল সমর্থকদের হাতে যাদবপুরে সিপিআইএম জোনাল কমিটির অফিস আক্রান্ত হওয়ার পর বুধবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে যাদবপুরে বিশাল মিছিল করে বামেরা। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, যাদবপুর এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেই ছিল সেই মিছিল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টা মিছিল করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মূল্যায়ণ, ভিড়ের নিরিখে বেশ কিছুটা এগিয়ে বামেদের মিছিল।
তবে শাসক দলের দাবি, তাদের বুধবারের মিছিল মহড়া মাত্র। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বামেদের মিছিলের যোগ্য জবাব দেবেন তাঁরা। বস্তুত বামেদের বুধবারের মিছিলকে 'হারাতে' সংগঠিত জমায়েতের তত্পরতা শুরু হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। কলকাতার পাশাপাশি দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া এমনকী হুগলি জেলা থেকেও বাস-ট্রাক-ম্যাটাডোর করে গাঙ্গুলিবাগানে লোক এনেছে রাজ্যের শাসক দল। শোনা যাচ্ছে, দলের প্রতিটি শাখা সংগঠনের কর্তাদেরও মানুষ আনার 'কোটা' বেঁধে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, বামেদের তরফেও বাগুইআটির মহামিছিল সফল করার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। সিপিআইএম নেতা গৌতম দেবের বক্তব্য, সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাস্তায় নামছেন না তাঁরা। সাধারণ ধর্মঘটের দিন রাজারহাটে তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদ জানাতেই বামেদের এই মহামিছিল। বাম নেতৃত্ব বলছেন, তাঁরা এখন বিরোধী আসনে। সরকারের কোনও কাজ পছন্দ না-হলে তাঁদের তো রাস্তায় নামতেই হবে। কিন্তু শাসকদলের জবাব রাস্তায় থেকে তাঁরা বুঝিয়ে দিতে চান, জনসমর্থন এখনও তাঁদেরই পক্ষে।