ছাত্রযুবদের শিষ্টাচার শেখাতে পুজোর পর কর্মশালা শুরু করছে তৃণমূল, থাকতে পারেন ম্যানেজমেন্ট গুরুরা
বিধানসভা নির্বাচনের বাকি মাত্র আটমাস। তার আগে দলের ছাত্রযুবদের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেতৃত্ব। ছাত্রযুবদের জনমুখী করে তুলতে পুজোর পর থেকেই শুরু হচ্ছে কর্মশালা। আর সেই কর্মশালায় হাজির করা হতে পারে ম্যানেজমেন্ট গুরুদের।
ব্যুরো: বিধানসভা নির্বাচনের বাকি মাত্র আটমাস। তার আগে দলের ছাত্রযুবদের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেতৃত্ব। ছাত্রযুবদের জনমুখী করে তুলতে পুজোর পর থেকেই শুরু হচ্ছে কর্মশালা। আর সেই কর্মশালায় হাজির করা হতে পারে ম্যানেজমেন্ট গুরুদের।
কলেজে কলেজ তাণ্ডব। ইউনিয়ন দখলে বোমা-গুলি, খুন। অধ্যক্ষ ঘেরাও। শিক্ষকদের মারধর। টিএমসিপির দৌরাত্ম্যে কার্যত নৈরাজ্যের ছবি রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে। দলীয় নেতৃত্ব বার বার সতর্ক করা সত্ত্বেও লাগাম পরানো যাচ্ছে না তৃণমূলের যুবছাত্র সংগঠনে। এমনকি কাজ হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও। আট মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ছাত্রযুবদের কার্যকলাপের জেরে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে দলের ভাবমূর্তি নিয়েই। সেকারণে ছাত্রযুব সংগঠনে রাশ টানতে এবার ম্যানেজমেন্ট গুরুদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পুজোর পর থেকেই শুরু হচ্ছে দলের যুবছাত্রদের কর্মশালা। নেতৃত্বে দুই তরুণ তুর্কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। কর্মশালায় রীতিমতো ফি দিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট গুরুদের। যেসব বিষয়ে তাঁরা ক্লাস নিতে পারেন সেগুলি হল ১)নীতিশাস্ত্র ২) জন সংযোগ
৩) আচরণ ও শিষ্টাচার।
কর্মশালার বিষয়বস্তু থেকেই স্পষ্ট নৈরাজ্যের ধারা থেকে সরিয়ে যুবছাত্রদের জনমুখী করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। কিন্তু সমস্যা হল এর আগে সবসময়ই ছাত্র যুবদের যেকোনও জনবিরোধী ভূমিকার সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। দামালদের দুষ্টুমি বলে লঘু করার চেষ্টা করেছেন পরিস্থিতিকে। হঠাত্ করে ম্যানেজমেন্ট গুরুদের টোটকায় দুষ্টু-দামালদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তো? সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।