Municipal Election 2022: জেলায় জেলায় প্রার্থী-বিক্ষোভ, পুরভোটের আগে নির্দেশিকা জারি তৃণমূলের

কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন।

Updated By: Feb 5, 2022, 09:24 PM IST
Municipal Election 2022:  জেলায় জেলায় প্রার্থী-বিক্ষোভ, পুরভোটের আগে নির্দেশিকা জারি তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘাসফুল শিবিরে 'তালিকা-বিক্ষোভ'। জেলায় জেলায় যখন প্রার্থী বদলের দাবিতে পথে নেমেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা, তখন শাখা সংগঠন ও গণসংগঠনকে 'দল যাকে প্রার্থী করবে, তাঁর সমর্থনে' প্রচারের নির্দেশ দিল তৃণমূল। কীভাবে? চূড়ান্ত করে দেওয়া হল রূপরেখাও।

তৃণমূলের পুর-নির্দেশিকা
--
১) যাকে দল প্রার্থী করবে, তার সমর্থনে দলের সব শাখা, গণসংগঠনকে প্রচারে  নামতে হবে।
২) মিছিল, মিটিংয়ে কমিশনের বিধি মেনে চলতে হবে।
৩) ডিজিটাল প্রচারে জোর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থীকে প্রচার করতে হবে ২বার।
৪) ট্যাবলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরতে হবে
৫) আগের ভোটে যেসব এলাকায় বিরোধীরা এগিয়ে ছিল বা যাঁরা অন্যদলে ভোটার হিসেবে পরিচিত, তাঁদের বাড়ি বাড়ি দিয়ে কেন্দ্রীয় জনবিরোধী নীতি তুলে ধরতে হবে প্রার্থীদের।
৬) স্রেফ এলাকায় উন্নয়ন বা স্থানীয় ইস্যু নয়, প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী ছবি-সহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পেও জোর। কীভাবে প্রতিটি পরিবারের বিভিন্ন বয়েসের সদস্যরা উপকৃত হয়েছেন, তা ব্যখ্যা করতে হবে।
৭) প্রচারে বাধা দিয়ে বিরোধীদের নাটক করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। কোনও আপত্তিকর কাজ করলে, সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতে হবে। 
৮) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরবঙ্গে ঢালাও কাজ ও জঙ্গলমহলে উন্নয়নের প্রচার।
৯) যাঁরা অন্য দল থেকে তৃণমূল আসতে চান, এমন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযাগ বাড়াতে হবে। কেউ ফিরতে চাইলে, এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নয়। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতে হবে।
১১) প্রচারে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও পরিষেবামূলক কাজের উল্লেখ। এবার কী করতে চান, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে জানাতে হবে প্রার্থীদের।
১২) মানুষের ভোটে আস্থা রেখে প্রচার। বাড়তি ভোটের জন্য এমন কোনও পদক্ষেপ নয়, যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। 
১৩)  বিরোধীদের গা-জোয়ারি আইনি পথে মোকাবিলা। শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ।

গতকাল, শুক্রবার ১০৮ পুরসভায় প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল (TMC)। কয়েক ঘণ্টার পর আবার সেই তালিকা বদল করা হয়।  পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী সই করার পর, নয়া তালিকা পাঠিয়েও দেওয়া হয় প্রত্যেকটি জেলায়, জেলা সভাপতিদের। তাহলে কেন বিক্ষোভ? আইপ্যাক-কে দায়ী করছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। যদিও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সূত্রে দাবি, এই তালিকা বিভাটের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। একটি তালিকা দিয়েছিল তারা। কিন্তু সেই তালিকায়  যে বদল হয়েছে, তা জানানো হয়নি। ফেসবুকে তালিকা আপলোডের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.