জিতেও স্বস্তিতে নেই তৃণমূল, অন্তর্ঘাত রুখতে কড়া দাওয়াই দলের

বিজেপির হানায় জিতেও সুখে নেই তৃণমূল শিবির। কেন আসানসোল হারাতে হল? কেন তৃণমূল মন্ত্রী, বিধায়কদের মার্জিন কমল? শুরু হয়েছে তার অন্তর্তদন্ত। আর সেই তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Updated By: May 19, 2014, 10:27 PM IST

বিজেপির হানায় জিতেও সুখে নেই তৃণমূল শিবির। কেন আসানসোল হারাতে হল? কেন তৃণমূল মন্ত্রী, বিধায়কদের মার্জিন কমল? শুরু হয়েছে তার অন্তর্তদন্ত। আর সেই তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মোদী সুনামির মধ্যেও বিয়াল্লিশে চৌত্রিশ দারুণ ফল। ভোটের পরে তৃণমূলনেত্রী ঘনিষ্ঠমহলে বলেছিলেন, ৩৫টি আসন তাঁরাই পাবেন। আসানসোলও ছিল তাঁর তালিকায়। কোনও সেফোলজিস্ট যা মেলাতে পারেননি, তা মিলিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন মিলল না আসানসোল? তৃণমূলের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নজরে বিধায়ক
---------
১. মলয় ঘটক, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এবং তাপস ব্যানার্জি। এই তিনজনের ওপরেই দায়িত্ব ছিল আসানসোল কেন্দ্রের। কিন্তু প্রার্থী দোলা সেনকে জেতাতে যে উদ্যম নিয়ে মাঠে নামার দরকার ছিল, তিন বিধায়কেরই তাতে খামতি রয়েছে বলে রিপোর্ট।

২. আসানসোলে প্রচারে নেমে বারবার তৃণমূলের বাধার সম্মুধীন হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। প্রতিবারই সেই সব ঘটনা সংবাদ শিরোনামে আসায়, আখেরে লাভ হয়েছে বাবুলেরই। এর পিছনেও কি অন্তর্ঘাত রয়েছে? খতিয়ে দেখছে তৃণমূলের থিঙ্কট্যাঙ্ক।

৩. তৃণমূলের বহু নেতা গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এমন খবরও এসে পৌছেছে তৃণমূল ভবনে। তথ্য যাচাইয়ের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুধু আসানসোল নয়। বহু আসনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ৩৬ জন বিধায়কের নাম তৃণমূলনেত্রীর খাতায় জমা পড়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মন্ত্রীও আছেন। এছাড়াও, নির্বাচন পর্বে দলের কিছু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যেভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে, তাও ভাবমূর্তির ক্ষতি করেছে বলে মনে করছে থিঙ্কট্যাঙ্ক। কারা গণ্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত থাকছেন, তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
----
বিজেপির হানায় নিজের ভবানীপুর কেন্দ্রেও পিছিয়ে রয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে মার্জিন কমেছে তৃণমূলের একাধিক জাঁদরেল মন্ত্রী ও বিধায়কদের। কেন এই ফল হল, তা খতিয়ে দেখে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
----
গোষ্ঠীকোন্দল ও অন্তর্ঘাতের ক্ষত মেটাতে তৈরি হচ্ছে দাওয়াই। তার প্রথমটি হল সংগঠনের সর্বস্তরে রদবদল।

দাওয়াই ১ : সংগঠনের সর্বস্তরে রদবদল।

দাওয়াই ২ : যে সব মন্ত্রী বিধায়কদের মার্জিন কমেছে, তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে

দাওয়াই ৩ : অন্তর্ঘাতের প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা। সব রকম পদ কেড়ে নেওয়া হবে

দাওয়াই ৪ : ভাবমূর্তি বাঁচাতে সন্ত্রাসের রাস্তা থেকে সরে আসার নির্দেশ

.