করোনায় বিজেপি-তৃণমূল 'একজোট', পিছিয়ে যেতে চলেছে পুরভোট
পুরভোট নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে ডেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সঙ্কটে পুরভোট নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার বিবৃতি দিয়ে তারা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিল। রাজ্যের শাসক দল সুপারিশ করায় সম্ভবত পিছিয়ে যেতে পুরভোট। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকলে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়াই শ্রেয়।
রবিবার সন্ধেয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইট করে বিবৃতি জারি করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,''Covid 19-কে অতিমারী ঘোষণা করেছে WHO। মানুষের সুরক্ষার জন্য নির্দেশিকা জারি ও একাধিক পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই সঙ্কটের সময়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি আমরা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত জনসাধারণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অতিমারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এগিয়ে আসা। নির্বাচন আসবে যাবে। এই ভয়ের সময় রাজনৈতিক দলগুলি হাতে হাতে দিয়ে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত।''
Statement by All India Trinamool Congress #COVID19 pic.twitter.com/4CCzu4HWIs
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 15, 2020
পুরভোট নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার রাজ্যের ১০টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে সর্বদলীয় বৈঠকে ডেকেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোট নিয়ে বিজেপির অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। দলের রাজ্য সভাপতির কথায়,''বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকলে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়াই ভালো।'' বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে প্যানডেমিক ঘোষণা করেছে। ভারত সরকারও বিপর্যয় আখ্যা দিয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে ভোটটা হবে কীভাবে?''
তার আগে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের উপরে ছাড়ার কথা জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূলের মহাসচিব বলেন,''অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। কাল বৈঠক। পুরভোটের সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। আমাদের দলের মধ্যেও আলোচনা চলছে।'' নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। তবে করোনা আতঙ্ক শাসক দলের কাছে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ বলে মনে করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বলেন,''এরা প্রথম থেকে গণতন্ত্রের পক্ষে নয়। যে কোনও অজুহাতে ভোট পিছোতে চাইবে। সবই তো ওদের হাতে।''
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের শাসক দল। ফলে শাসক দলের ইচ্ছাই নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের অগ্রাধিকার পাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সেক্ষেত্রে পুরভোট আপাতত স্থগিত হওয়াটা অবধারিত।
আরও পড়ুন- করোনায় ১০ মিলিয়ন ডলার, ডাক্তার দিয়ে পড়শিদের সাহায্যের আশ্বাস মোদীর