KMDA-র জমি দখল নিয়ে শাসকদলে গোষ্ঠীকোন্দল? হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা TMC কর্মীর
অন্যদের সঙ্গে সমীরও জমি দখলে বাধা দেওয়ায় তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মায়ের অভিযোগ, কাউন্সিলর আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হুমকি দিয়েছে।
![KMDA-র জমি দখল নিয়ে শাসকদলে গোষ্ঠীকোন্দল? হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা TMC কর্মীর KMDA-র জমি দখল নিয়ে শাসকদলে গোষ্ঠীকোন্দল? হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা TMC কর্মীর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/31/370347-suicide-blood-hand.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : দুষ্কৃতীদের হুমকির পর আতঙ্কে হাতের শিরা কেটে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের। নাম সমীর সর্দার। ঘটনা কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলবাগান এলাকায়।
বাঘাযতীনের একটি নার্সিংহোমে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। আক্রান্ত যুবক তৃণমূল (TMC) কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, তারা আবার স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দিনো যাদবের দলবল বলে জানা গেছে। আরও জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত কেএমডিএ-এর (KMDA) একটি জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে। অন্যদের সঙ্গে সমীরও জমি দখলে বাধা দেওয়ায় তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় ফের একবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের দিকে। যাঁরা কেএমডিএর জমিতে পাঁচিল তুলছিলেন,তাঁরা ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামী বলে অভিযোগ। অন্যদিকে যে যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তিনি এবং অন্যান্য যাঁরা পাঁচিল তুলতে বাধা দেন, তাঁরা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের অনুগামী।
হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সমীর সর্দারের মায়ের অভিযোগ, কাউন্সিলর আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হুমকি দিয়েছে। যদিও কাউন্সিলর লিপিকা মান্না অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিসের থেকে খবর নিয়ে তিনি ওই যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানান। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দিনো যাদবকে কাউন্সিলরের মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে এর আগে।
অন্যদিকে, বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ জানান, "কেএমডিএর জমিতে বেআইনিভাবে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল। পুলিসে অভিযোগ জানাই। খবর পেলাম এক যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কারা এর পেছনে, তার তদন্ত হোক।"
আরও পড়ুন, Rampurhat Massacre: রামপুরহাট কাণ্ডে CBI-এর স্ক্যানারে দমকলও, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
Kidnap: কথা পাকা হতেই বাড়িতে ডাকে 'কাজের মাসি', উত্তরবঙ্গের বাসিন্দার তারপরের অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর!