টিএমসিপি নেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্বাচনে

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সম্ভবত অংশ নিচ্ছে না তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সরকারিভাবে অবশ্য তারা এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি। রাজ্য সরকারের মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনে না লড়ার মতো সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তিও দাঁড় করাচ্ছে টিএমসিপি। তাদের দাবি, নির্দিষ্ট আইন মেনে নির্বাচন হচ্ছে না। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, জয়ের সম্ভাবনা কম বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে টিএমসিপি।

Updated By: Feb 8, 2013, 09:04 PM IST

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে  সম্ভবত অংশ নিচ্ছে না তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সরকারিভাবে অবশ্য তারা এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি। রাজ্য সরকারের মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে  নির্বাচনে না লড়ার মতো সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তিও দাঁড় করাচ্ছে টিএমসিপি। তাদের দাবি, নির্দিষ্ট আইন মেনে নির্বাচন হচ্ছে না। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, জয়ের সম্ভাবনা কম বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে টিএমসিপি।
২০১০ -এর ১০ই ফেব্রুয়ারি শেষবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় প্রেসিডেন্সি কলেজে। সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিন ছাত্র জয়ী হয়।  প্রায় তিন বছর পর ফের ১ মার্চ নির্বাচন হতে চলেছে প্রেসিডেন্সিতে। এর মধ্যে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় ঘটে গেছে পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের ছাত্র সংসদ দখলের ক্ষেত্রে নিজেদের ক্ষমতায় দেখিযেছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
কিন্তু সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদই এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে না লড়ার পথে। কী কারণ ?
টিএমসিপি-র দাবি, নির্দিষ্ট কোনও আইন নেই এই নির্বাচনের। এমনকী কোথাও এই নির্বাচনের অনুমোদনও নেই। আর সেই কারণেই এ ক্ষেত্রে টিএমসিপি যোগ দিতে চায় না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির তৈরি নির্দিষ্ট আইন মেনেই এই নির্বাচন হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই নিয়মে উচ্চ শিক্ষা সংসদেরও অনুমোদন আছে বলে দাবি, কর্তৃপক্ষের।
ফলে টিএমসিপি-র দাবি মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। তবে টিএমসিপি যাই দাবি করুক না কেন অনেকেই মনে করছেন গত কয়েক মাসে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজের যত প্রতিবাদ হয়েছে সেখানে বড় ভূমিকা নিয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। সেই অবস্থায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এই মুহুর্তে প্রার্থী দিয়ে টিএমসিপি-র জেতার সম্ভাবনা কম। প্রার্থী দিয়েও হেরে যাওয়ার লজ্জা ঢাকতেই এই কৌশল।
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সরকারিভাবে এবিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। তাদের দাবি উচ্চশিক্ষা সংসদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য জানতে চেয়েছে তারা। তা আসার পরেই প্রার্থী দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

.