টালিগঞ্জে গণধর্ষণ: ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
ফের গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটল কলকাতায়। শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, স্থানীয় যুবতী তাঁর ছ`বছরের অসুস্থ সন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় স্থানীয় ছ`জন যুবক তাঁকে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে টেনে নিয়ে যায়। সেই বহুতলের পাশেই একটি গুমটি ঘরে তাঁকে বার বার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ফের গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটল কলকাতায়। শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, স্থানীয় যুবতী তাঁর ছ'বছরের অসুস্থ সন্তানের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার সময় স্থানীয় ছ'জন যুবক তাঁকে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে টেনে নিয়ে যায়। সেই বহুতলের পাশেই একটি গুমটি ঘরে তাঁকে বার বার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। অত্যন্ত সঙ্কটজনক শারীরিক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে বাঙুর হাসপাতালে ও পরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পুলিস। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ধর্ষিতার জবানবন্দি নেবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ধর্ষিতা ওই অঞ্চলেই গৃহ পরিচারীকার কাজ করেন।
এরই মধ্যে উঠেছে পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রাথমিকভাবে বস্তির অন্তর্কলহ বলে ঘটনাটিকে লঘু করারও চেষ্টা করা হয়। পুলিসের দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসীন্দারা। ঘটনায় স্থানীয় ৬ জন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার জেরা চলছে। বক্তব্যে অসঙ্গতি মিললে তাকে গ্রেফতার করাও হতে পারে বলে পুলিস সূত্রে খবর। অভিযুক্তরা সকলেই বিভিন্ন সময়ে টালিগঞ্জ এলাকাতেই ঠিকা শ্রমিকের কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। নির্মীয়মান বহুতলটির প্রোমোটারের সঙ্গেও একাধিক সময় ঠিকার কাজ করেছে বলেও খবর। স্থানীয় মানুষ আরও অভিযোগ করেন যে ওই গুমটি ঘরটি ওই বহুতলের প্রোমোটারের অফিস হলেও প্রত্যেক সন্ধেয় অভিযুক্তরা ওখানে মদ ও জুয়ার আসর বসে।
স্বাভাবিকভাবেই, শুক্রবারের ঘটনা আরও একবার কলকাতায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।