রিজার্ভেশন সত্ত্বেও কামরার বাইরে ঝুলে সফর করতে হল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে

রিজার্ভেশন ছিল। তবু ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে পারলেন না ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র স্বর্ণাভ বাগচী। কারণ বারবার কামরার দরজায় ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও কেউ দরজা খোলেননি। তারপর প্রায় মিনিট ১৫ চলন্ত এক্সপ্রেসে ট্রেনে ঝুলে থেকে সহযাত্রীদের দয়ায় কামরায় ওঠেন তিনি। পুলিস, টিটিই কাউকেই ট্রেনে দেখা যায়নি। ফলে কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়েও আসেননি। হাওড়া স্টেশনে পৌছে অভিযোগ জানানোর পর কর্তৃপক্ষের দায়সারা উত্তর--দু, আড়াই মাস পর অভিযোগের উত্তর পাওয়া গেলেও যেতে পারে। কিন্তু তাতে কী থাকবে, কেউই জানেন না।

Updated By: Mar 8, 2014, 04:32 PM IST

রিজার্ভেশন ছিল। তবু ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে পারলেন না ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র স্বর্ণাভ বাগচী। কারণ বারবার কামরার দরজায় ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও কেউ দরজা খোলেননি। তারপর প্রায় মিনিট ১৫ চলন্ত এক্সপ্রেসে ট্রেনে ঝুলে থেকে সহযাত্রীদের দয়ায় কামরায় ওঠেন তিনি। পুলিস, টিটিই কাউকেই ট্রেনে দেখা যায়নি। ফলে কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়েও আসেননি। হাওড়া স্টেশনে পৌছে অভিযোগ জানানোর পর কর্তৃপক্ষের দায়সারা উত্তর--দু, আড়াই মাস পর অভিযোগের উত্তর পাওয়া গেলেও যেতে পারে। কিন্তু তাতে কী থাকবে, কেউই জানেন না।

বিপজ্জনক যাত্রার নজির সৃষ্টির করলেন যাদবপুরের স্বর্ণাভ বাগচী। উদাসীনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং কর্তব্যে অবহেলার নজির সৃষ্টি করল রেলও। ছ তারিখ রাত তিনটে পঁয়ত্রিশ মিনিটে ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে হাওড়া আসার জন্য রাঁচি-হাতিয়া এক্সপ্রেসে রিজার্ভেশন করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র স্বর্ণাভ বাগচী। কিন্তু আসার সময় ঝাড়গ্রাম স্টেশনে বারবার কামরার বন্ধ দরজা ধাক্কাধাক্কি করেও সাড়া পাননি কোনও যাত্রীর। আশেপাশের কামরার দরজাও ছিল বন্ধ। ঝাড়গ্রামে খুব বেশিক্ষণ ট্রেন দাঁড়ায় না। ফলে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করার সময়ও ছিল না। এ দিকে কলকাতায় পৌছনোও খুব দরকারি। তাই কুলকিনারা না পেয়ে যে কামরায় রিজার্ভেশন ছিল, সেই কামরার বন্ধ দরজা ধরে ঝুলে পড়েন স্বর্ণাভ। প্রায় মিনিট পনেরো এই ভাবে যাওয়ার পর, তাঁর চিত্কার-চেঁচামেচিতে সদয় হয়ে কয়েকজন যাত্রী দরজা খুলে দেন। ততক্ষণে স্বর্ণাভর অবস্থা করুণ। কোনও রকমে সামলে নিয়ে স্টেশনে দরজা না খোলার কারণ জিজ্ঞাসা করেন যাত্রীদের। তাঁদের যুক্তি, ঝাড়গ্রাম এলাকা বিপজ্জনক। স্বর্ণাভকে মাওবাদী ভেবে তাঁরা ভয় পেয়ে চুপ করে ছিলেন। স্বর্ণাভ জানাচ্ছেন, তখন বা তার পর সারা রাস্তায় কোনও টিটিই বা পুলিসের দেখা পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁদের কাছে সাহায্য চাওয়া বা অভিযোগ জানানোরও কোনও প্রশ্ন ছিল না।

এরপর হাওড়া স্টেশনে পৌছে অভিযোগ দায়ের করার পর কর্তৃপক্ষের আরও বিচিত্র বক্তব্য। স্বর্ণাভ জানান, তাঁকে বলা হয়েছে, অভিযোগের উত্তর দু, আড়াই মাস পর পাওয়া গেলেও যেতে পারে। তবে কী উত্তর মিলবে, তা কেউই জানেন না। তাই স্বর্ণাভর প্রশ্ন, ট্রেনে পুলিস বা টিটিই কেন ছিলেন না? কেন হাওড়া স্টেশন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পেয়েও ওই রকম দায়সারা উত্তর দেবে? এ কি রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতারই চূড়ান্ত নজির নয়? তাঁর এই সব সঙ্গত প্রশ্নের উত্তর যে আপাতত রেল দিচ্ছে না, তা স্পষ্ট। এরপর দিলেও, কী উত্তর দেবে, তা-ও অজানা। ক্যামেরায় বাপন সাউ এবং সৌরজিৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে

.