নিজস্ব প্রতিবেদন: ডাক্তারদের 'ভগবান' বলে উল্লেখ করা হয়। তবে কেউ কেউ আজকাল এই লব্জের বিরোধিতাও করেন। কোথাও কোথাও ডাক্তারদের দু-একটা অমানবিক আচরণের ফল বর্তায় তাবত চিকিত্‍সককুলের উপর। কিন্তু ডাক্তারদের 'ভগবান' আখ্যা দিলে তা যে ভুল হয় না, সেটাই যেন ফের প্রমাণ করল কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দু'মাস আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (national medical college hospital) হাসপাতালে মূক ও বধির মায়ের কোলে জন্ম নিয়েছিল এক একরত্তি। জন্মের সময়ে তার ওজন ছিল চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো-- মাত্রই ৭৫০ গ্রাম! প্রাথমিক এই সঙ্কটের পরেও সঙ্কট এল। ক'দিনের মধ্যেই মা সালেহার খাতুন কোভিড পজিটিভ (covid) হলেন। মায়ের সঙ্গেই কোভিড-আক্রান্ত হল তাঁর একরত্তি শিশুকন্যাও। একে ওজন কম, তায় করোনার ধাক্কা।  


আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ বাড়ল ১ জুলাই পর্যন্ত, জেনে নিন কী খোলা, কী বন্ধ


শিশুটির অপরিণত ফুসফুস প্রাথমিক ভাবে কোভিডের ধকল সামলাতেও পারেনি। দ্রুত অবস্থার অবনতি হয়। তাকে স্থানান্তর করা হয় 'সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে' (এসএনসিইউ)। প্রথমে অক্সিজেন দেওয়া হলেও পরে 'নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রেসপিরেটরি সাপোর্টে' রাখতে হয় শিশুটিকে। এরপর চিকিত্‍সকদের অক্লান্ত নজর ও চিকিত্‍সায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। 


নাহ! কপালে তার বিপদের ফের কিছু কম নয়। এদিকে সে যখন একটু-একটু করে সুস্থ হচ্ছে, ওদিকে তখন তার ঘরদোর ভেসে যাচ্ছে Yaas-এর ধাক্কায়। কেননা বাড়ি তার ঝড়-বিধ্বস্ত সাগরদ্বীপে। সে হয়তো জানল না। কিন্তু সুস্থ হয়ে তাকে কোথায় নিয়ে উঠবেন তার বাবা-মা? 


ইয়াসে সাগরদ্বীপে (sagar island) সালেহার খাতুনের  বাড়িতে জল উঠে গিয়েছিল। তবে এখন সেখানকার পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সুস্থ-হয়ে-ওঠা শিশুকন্যাটিকে তাই সোমবারই বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠানো হল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসকদের তরফে।


নিজের গ্রামে ফেরার মুখে দু'মাস পরে সাগর-কন্যার ওজন দাঁড়িয়েছে ১৩৮০ গ্রাম।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পড়ুন: পুজোর আগে এবার প্রতিমা শিল্পী, মৃত্‍ শিল্পীদের টিকাকরণের উদ্যোগ নিল ক্লাব