Sextortion Case: যৌন ব্যবসার মাধ্যমে ৬৭ লক্ষের প্রতারণা, কলকাতা পুলিসের হাতে গ্রেফতার ১ ব্যক্তি
শহর জুড়ে বাইশটি যৌন ফাঁদে ফেলে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা পুলিসের সাইবার সেলের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে শহরে যত সাইবার মামলা হয়েছে, তার মধ্যে ১০ শতাংশই যৌন হেনস্থার। এক্ষেত্রে, নিজেকে সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পর হোয়্যাটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন করে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে অভিযুক্ত। তারপর....
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সেক্সটরশনের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের (UP) বরেলির এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। যৌনতার ফাঁদে (Sextortion) ফেলে ৬৭ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বছর ৩৬-এর ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পার্ক স্ট্রিটের একটি নামী ওষুধ কোম্পানির সিএফও এবং দক্ষিণ কলকাতার গল্ফ গ্রিনের বাসিন্দা নির্যাতিত গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন, LPG Price: ফের কমল LPG সিলিন্ডারের দাম, ১৭১ টাকা কমে কত হল আপনার শহরে দাম?
নিজেকে সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পর হোয়্যাটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন করে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে অভিযুক্ত। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এরপর ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অভিযুক্ত হোয়্যাটসঅ্যাপে রেকর্ড করা ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়ে নেয়। ওই পুলিস আধিকারিক আরও বলেন, "এরপরই উত্তর প্রদেশের বরেলিতে অভিযান চালানো হয় এবং অভিযুক্ত অমিত কুমারকে এই অপরাধে সরাসরি জড়িত থাকার জন্য ২৮ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত তিনটি হোয়্যাটসঅ্যাপ নম্বর এবং দুটি পৃথক ব্যাংকের ১৩টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত। সেখানেই ব্ল্যাকমেল করে আদায় করা টাকা রাখা হত বলে পুলিস সূত্রে খবর।
অভিযুক্তকে জেরা করে জানা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইল দেখেই তিনি টার্গেট ঠিক করতেন। গত ২৮ এপ্রিল তাঁকে বরেলীর সিজেএম আদালতে তোলার পর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রবিবার তাকে শহরের একটি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১২ মে পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ডিসি (সাইবার) অতুল ভি বলেন, 'আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।'
প্রসঙ্গত, শহর জুড়ে বাইশটি যৌন ফাঁদে ফেলে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। কলকাতা পুলিসের সাইবার সেলের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে শহরে যত সাইবার মামলা হয়েছে, তার মধ্যে ১০ শতাংশই যৌন হেনস্থার। পুলিস আধিকারিকের মতে, 'যৌন হয়রানির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করছি। যৌন হেনস্থা ইদানীং বেড়ে চলেছে। আর প্রতারকরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে ঠকাচ্ছে। এক অফিসার জানান, ভুক্তভোগীদের লজ্জা ও ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে এবং এই ধরনের মামলা পুলিসকে জানাতে হবে। সবমিলিয়ে ২০২২ সালে কলকাতা পুলিস সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রে ২১২টি এফআইআর রেকর্ড করেছে। ২০২১ সালে মোট ২২০ টি মামলা রিপোর্ট করা হয়েছিল। ২০২০ সালে প্রায় ১৭২টি ঘটনা ঘটেছে - যা ২০১৯ সালে রেকর্ড করা ১৬০টি ঘটনার হারে ব্যাপক বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'নিজের পার্টির লোক সামলাতে পারছেন না, তার আবার এতো বড় কথা', অভিষেককে আক্রমণ দিলীপের