Visva Bharati: যিনি বাংলার গর্ব তাঁকে অপমান করা হচ্ছে, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব বিশিষ্টজনেরা
বিশিষ্ট গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় অমর্ত্য সেন পক্ষপাতী ছিলেন না। সেই সময় উনি বামপন্থীদের নয়নের মনি ছিলেন। কিন্তু মমতার প্রধানমন্ত্রী হবার যোগ্যতা আছে এই কথাটা বলার জন্য নাকি তার মান কমে গিয়েছে!
মৌমিতা চক্রবর্তী: বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের কর্মকাণ্ড ও অমর্ত্য সেনকে অপমান করা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ ও বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি। রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হন বিশিষ্টজনরা।
আরও পড়ুন-আচমকাই সংকট! বিশ্ববাজারে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ, ভারতে কী ঘটতে চলেছে?
অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, বিশ্বভারতীতে নতুন উপাচার্য আসার পর একবারও যাইনি। অমর্ত্য সেন অত্যন্ত মাননীয় ব্যক্তি এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অমর্ত্য সেন যখন বলছেন ওই জমি ওঁরই তখন সেই কথাই যথেষ্ট। অমর্ত্য সেন যে নোবেল পেয়েছেন তাও মেনে নিতে রাজী নন উপাচার্য। অর্থনীতিতে প্রতিথযশা যাঁরা তার ওই পুরস্কার পেয়েছেন। এটাকে যদি নোবেল পেয়ে না থাকেন তাহলে নোবেল কোনটা। এনিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও কথা হয় না। উপাচার্যের একথা না জানার কথা নয়। উপাচার্য যা করছেন তার পেছনে তাঁর ব্যক্তিগত লাভ রয়েছে। এই উপাচার্যের থাকার কোনও যুক্তি নেই।
বিশ্বভারতীর জমি আটকে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। এই মর্মে একাধিক চিঠি অমর্ত্য সেনকে পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অমর্ত্য সেনকে তাঁর জমির নথি তাঁর হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার পরেও পিছু হঠতে রাজী নন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। এনিয়ে আজ মনোজ মিত্র বলেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এত হতাশ হতে দেখিনি। এই উপাচার্য যা ইচ্ছে তাই বলেন। কাউকে বসতে বলেন না। ওঁর আচরণ অত্যন্ত খারাপ। একটা এক নায়কতন্ত্রের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন। এদিন তিনি বলেন, যখন কোনও দুঃসময় দেখা যায় তখনই আমরা আপনাদের সম্মুখীন হই। কেন রবীন্দ্রনাথের কর্মক্ষেত্রে বিশিষ্ট মানুষদের অপমান করা হচ্ছে। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে! যিনি নোবেল পেয়েচেন তাঁকে অপমান করা হচ্ছে। কোন ভোল্টের কারেন্ট ওঁর শরীরে রয়েছে। আমরা সমবেতভাবে শান্তি নিকেতন যাব। অনশন করব।
বিশিষ্ট গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় অমর্ত্য সেন পক্ষপাতী ছিলেন না। সেই সময় উনি বামপন্থীদের নয়নের মনি ছিলেন। কিন্তু মমতার প্রধানমন্ত্রী হবার যোগ্যতা আছে এই কথাটা বলার জন্য নাকি তার মান কমে গিয়েছে! অমর্ত্য সেনকে অপমান করা হচ্ছে। আমরা তো একটা পদযাত্রা আশা করেছিলাম। বাংলা তো কই ফুঁসে উঠল না! উপাচার্য তল্পিবাহক অনুচর মাত্র। ওঁকে করুনা করুন। যিনি বাংলার গর্ব তাঁকে অপমান করা হচ্ছে।
বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটির পক্ষে মনোজিত্ মণ্ডল বলেন, বিদ্যুৎবাবু আপনি আমাকে ঠান্ডা থ্রেট করেছিলেন। আপনি একবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখান। আপনাকে যাদবপুর দেখিয়ে দেবে। আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, আমাকে বহিস্কার করে দেখান। আপনি নিজে ভাবুন। আপনি নাকি গভর্নর হতে চাইছেন। আমরাও প্রতিবাদ করব।