WB assembly election 2021: বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে, দিলীপ ঘোষ
ওই দুষ্টু ছেলেরা থাকবে না বাংলায়, মত দিলীপের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। বরানগরে ভোট-প্রচার থেকে শীতলকুচি নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শীতলকুচি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ (dilip ghosh) বরানগরে বলেন, 'এত দুষ্টু ছেলে কোথা থেকে এল? ওই দুষ্টু ছেলেরা থাকবে না বাংলায়। সবে শুরু হয়েছে, এটা সারা বাংলায় হবে। যাঁরা ভেবেছেন বাহিনী বন্দুকটা দেখানোর জন্য এনেছে, (তাঁদের বলি) বাহিনী শুধু বন্দুকটা দেখাতে আসেনি। কেউ যদি আইন হাতে নিতে আসে তাঁকে যোগ্য জবাব দিতে হবে।' এর পরে পঞ্চম দফার ভোটের প্রসঙ্গে দিলীপ সংশ্লিষ্ট ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, '১৭ তারিখে ভোট দিতে যান, বাহিনী থাকবে। ভোট দিতে না পারলে আমরা আছি। শীতলকুচিতে কী হয়েছে দেখেছেন তো? বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
প্রসঙ্গত, শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে মাথাভাঙা, বুথ নম্বর ১২৬, আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয়েছিল। চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে সেখানে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর খবর আসে। জানা গিয়েছে বুথ থেকে ৩০০ মিটার দূরে ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে সেখানে এক দফা গন্ডগোল হয়। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এক ঘণ্টা পরে আবার ঝামেলা বাধে। ফের একটি দল চড়াও হয়। প্রথমে এক পুলিসকে মারধর করা হয়। এরপর প্রিসাইডিং অফিসারকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘিরে ফেলা হয় ফোর্সকে। তখনই বাহিনী গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন এক জওয়ান অফিসার।
শীতলকুচির (Shitalkuchi) পরে উত্তেজনা ছড়ায় মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকিতে। অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু ৪ যুবকের। তৃণমূলের দাবি, চারজনই তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে। দু'পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। বাকি ৩ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে খবর। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভোট। বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। সব মিলিয়ে সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। দফায় দফায় সংঘর্ষে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। দুপুরের মধ্যেই সবমিলিয়ে মোট ৫ জনের মৃত্যুর খবর আসে। একের পর এক বিশৃঙ্খলার কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ।
ওই এলাকায় আগামী ৭২ ঘণ্টা যে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রবেশ নিষেধ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই বিধিতে পড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। যেতে পারেননি শীতলকুচি। তবে শীতলকুচির নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কথা বলে মমতা জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের দায়িত্ব সম্পূর্ণ তাঁর। ১৪ তারিখ দেখা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কমিশনের নির্দেশিকা নিয়েও।
ঠিক এই প্রেক্ষিতেই সামনে এল দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য।
আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: ভায়া ভিডিয়ো কল, না গিয়েও শীতলকুচিতে মমতা