WB Flood Situation: '৩-৪ দিন জল ছাড়া বন্ধ রাখুন', DVC-কে কড়া চিঠি সেচ দফতরের
বেশিরভাগই জলই বাঁধে ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছে, দাবি DVC-র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বারবার বলা সত্ত্বেও রাজ্যকে না জানিয়ে কেন জল ছাড়া হচ্ছে? ডিভিসি-কে এবার কড়া চিঠি দিল সেচ দফতর। প্লাবিত এলাকা পরির্শনে গিয়ে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বললেন, 'জল ছাড়াটা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অনেক জল ছাড়ছেন। ৩-৪ দিন জল ছাড়া বন্ধ রাখুন'।
বানভাসি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ডিভিসি জল ছাড়ার পর হাওড়ার উদয়নারায়ণুর, হুগলির খানাকুল ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে আরও। এদিন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, মাঝপথে আমতা থেকে কলকাতায় ফিরতে হয় তাঁকে। শুক্রবার বন্যাবিধ্বস্ত খানাকুলে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটা বৃষ্টির বন্যা নয়। এটা জল ছাড়ার বন্যা। ম্যান মেড ফ্লাড। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। DVC ইচ্ছেমতো জল ছাড়ছে। এটা কেন্দ্রের DVC-র খাল সংস্কার না করার ফল। এখনও দেখছেন বাজ পড়ছে। আপনারা সাবধানে থাকুন।' প্রশাসনিক আধিকারিকদের 'সাধারণ মানুষের পাশে থাকা'র পরামর্শ দিয়েছে তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'খানাকুলে যাব ভেবেছিলাম। তবে অবস্থা খারাপ।'
আরও পড়ুন: WB Flood: 'ম্যান মেড বন্যা', হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে বানভাসী এলাকা পরিদর্শনে Mamata
জানা গিয়েছে, এদিনও পাঞ্চেত ব্যারাজ থেকে ২০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বাদ যায়নি মাইথনও। সেখান থেকে সম পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, 'ডিভিসি-র ছাড়া জল যখন দুর্গাপুর ব্যারাজে এসে পৌঁছয়, তখন সেই জলের পরিমাণ হয়ে যায় ৬৫ হাজার কিউসেক। ফলে আজ দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে এক ঝটকায় ৬৫ হাজার কিউসেক অতিরিক্ত জল এসে পড়েছে। বারবার বলা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে জল ছাড়া হচ্ছে। ডিভিসি-কে চিঠিতে সেকথাই জানানো হয়েছে'।
আরও পড়ুন: WB Flood Situation: জলের নীচে বাড়িঘর, আকাল পানীয় জলের! ভয়াবহ জেলার বন্যা পরিস্থিতি
কী বলছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ? তাদের বক্তব্য, 'ডিভিসি জল ছাড়ে না। জল ছাড়ে একটি কমিটি। সেই কমিটির প্রধান সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন। ডিভিসি শুধু গেট খুলে আর বন্ধ করে। এই সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারও রয়েছেন'। ডিভিসি-র আরও বক্তব্য, 'আমরা বেশিরভাগ জলটাই বাঁধে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। বাঁধের জলস্তর অনেকটা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ এক লক্ষ ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তা না হলে, ৪ লক্ষ কিউসেক জল চলে যেত। সেখানে বন্যা হয়েছে, সেখানে ৫ লক্ষ কিউসেক পর্যন্ত জল যেত'।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)