জেলায় জেলায় ঝড়-বৃষ্টি, প্রভাব ট্রেন চলাচলে
অবশেষে এল সে। মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে বিপর্যস্ত হল স্বাভাবিক জনজীবন। শনিবার সন্ধেয় কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ঘণ্টায় ৫৩ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যায়।
অবশেষে এল সে। মরসুমের প্রথম কালবৈশাখীতে বিপর্যস্ত হল স্বাভাবিক জনজীবন। শনিবার সন্ধেয় কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ঘণ্টায় ৫৩ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যায়। এর জেরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বালিগঞ্জ থেকে সোনারপুর স্টেশনের মধ্যে ওভারহেড তারে বিদ্যুত্ সংযোগ না-থাকায়, সন্ধে থেকে ওই শাখায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। পরে রাত পৌনে দশটা নাগাদ ওভারহেড তারে বিদ্যুত্ সংযোগ ফিরলেও, দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হতে রাত প্রায় দশটা বেজে যায়। চূড়ান্ত দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে এদিন। দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান, নদিয়া, হাওড়া, হুগলিতে আচমকা ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। বহু জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুত্ পরিষেবা। বর্ধমানের কালনায় ঝড়ের দাপটে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি কাঁচাবাড়ি। নষ্ট হয়েছে আমের মুকুল।