West bengal Assembly: বিধানসভা যেন ক্লাসরুম! তৃণমূলের মন্ত্রীদের 'চুপ করাতে' লজেন্স ধরালেন শাসকদলেরই বিধায়ক
নিজের দলের বিধায়কদের বলেন যে বিরোধীদের বলার সময় যদি তারা চিৎকার করেন তাহলে তাদের বলার সময়ও বিরোধীরা চিৎকার করবে। বোঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু বুঝিয়ে যে বিশেষ কাজ হবে না সেটা সহজেই তিনি বুঝতে পারেন।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ছোটদের ক্লাসে অনেক সময় তারা চিৎকার-চেঁচামেচি করলে মাস্টার মশাইরা প্রথমে তাদের বকেন। তারপরে তাদের বোঝান। আর তাতেও হট্টগোল না থামলে তাদের হাতে ধরিয়ে দেন চকলেট বা লজেন্স । এ চিত্র কমবেশি সকলেরই দেখা। আর শুক্রবার সেই চিত্রই দেখা গেল বিধানসভার ভেতরে। নজিরবিহীন এই ঘটনা তাজ্জব সকলে। বিধানসভার ভেতরে তখন বাজেটের উপর বক্তব্য রাখছিলেন এক একজন বিরোধী দলের বিধায়ক। আর সেই বক্তব্যের প্রতিবাদ করে চিৎকার করছিলেন বেশ কিছু শাসকদলের বিধায়ক।
আরও পড়ুন, পুরী ঘুরতে অনলাইনে হোটেল বুকিং! ভুয়ো ওয়েবসাইটের ফাঁদে ৯২ হাজার খোয়ালেন বিচারপতি
তাদের দাবি ছিল যে মিথ্যা কথা বলছেন ওইসব বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু এই চিৎকার চেঁচামেচি ফলে বারে বারে বিজেপির বিধায়করা অভিযোগ করছিলেন তাদের বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অধ্যক্ষ নিজে কয়েকবার বলেন চুপ করতে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এমতাবস্থায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এগিয়ে যান। তাদের চিৎকার করে প্রতিবাদ না করে শান্ত থাকতে বলেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
শেষমেষ নিজের সিট ছেড়ে উঠে ওইসব বিধায়কদের দিকে এগিয়ে যান পরিষদীয় মন্ত্রী সুগন্ধী চট্টোপাধ্যায়। নিজের দলের বিধায়কদের বলেন যে বিরোধীদের বলার সময় যদি তারা চিৎকার করেন তাহলে তাদের বলার সময়ও বিরোধীরা চিৎকার করবে। বোঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু বুঝিয়ে যে বিশেষ কাজ হবে না সেটা সহজেই তিনি বুঝতে পারেন।
ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাত ঢোকান নিজের jজহর কোটের পকেটের দিকে। সেখান থেকে বার করেন লজেন্স। যারা চিৎকার করে প্রতিবাদ করছিলেন তাদের হাতে একটা একটা করে গুঁজে দেন চকোলেট। সেই সঙ্গে বলেন, লজেন্স মুখে পুরে চুপ হয়ে শান্ত হয়ে বস। লজেন্স হাতে পাওয়া মাত্রই পরিবেশ শান্ত । এ যেন ছিল এক অন্য ক্লাসরুম।
আরও পড়ুন, Teacher Recruitment Scam: বিভিন্ন জেলাতে এজেন্ট, লাভের টাকা কোথায় কোথায় পাঠাতেন রঞ্জন? জেরা CBI-এর