West Bengal Primary Board: ঢেলে সাজানো হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদ, মানিকের জায়গায় সভাপতি পদে গৌতম পাল
সভাপতি পদে নতুন নিয়োগের পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এবার পর্ষদে প্রসিডেন্ট ছাড়াও থাকছেন ১১ জন সদস্য। কমিটিতে রয়েছে সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি
শ্রেয়শী গঙ্গোপাধ্য়ায়: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। পাশাপাশি তাদের যাদবপুরের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। একইসঙ্গে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ওই নির্দেশের পরই পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান মানিক ভট্টাচার্য। এবার সেই মানিক ভট্টাচার্যের জায়গায় নতুন সভাপতি নিয়োগ করা হল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এবার নতুন সভাপতি হলেন ড. গৌতম পাল। বর্তমানে তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের সহ-উপাচার্য পদে রয়েছেন।
সভাপতি পদে নতুন নিয়োগের পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এবার পর্ষদে প্রসিডেন্ট ছাড়াও থাকছেন ১১ জন সদস্য। কমিটিতে রয়েছে সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। রয়েছেন বেশ কিছু অধ্য়াপক, শিক্ষাবিদ। এর থাকবেন এক বছরের জন্য।
সম্প্রতি বেশকিছু ঘটনা রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার। পার্থ গ্রেফতারের পরই তাকে ছেঁটে ফেলেছে দল। অনুব্রতর ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোনও বড় পদক্ষেপ না নিলেও মানিক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য।
উল্লেখ্য, যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি সেইদিনই মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও তল্লাশি হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। তারপর তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়? ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। সেই তথ্য যাচাই করার জন্য মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করা হয়।
টেট মামলায় স্রেফ ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাকে বেআইনি ঘোষণা করা নয়, টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ২৬৯ জনের চাকরি বেআইনি। সকলেরই বেতন বন্ধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশে নিজাম প্যালেসে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। রেহাই পাননি পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তীও।