হোয়াটস অ্যাপের সূত্র ধরে কিনারা হল পার্ক স্ট্রিট হত্যাকাণ্ডের
হোয়াটস অ্যাপের সূত্র ধরে কিনারা হল পার্ক স্ট্রিট হত্যাকাণ্ডের
হোয়াটস অ্যাপের সূত্র ধরে কিনারা হল পার্ক স্ট্রিট হত্যাকাণ্ডের। চিত্রনাট্যকার দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় ধরা পড়ল আব্দুল হাসান ও নিয়াজ রহমান নামে দুই যুবক। মুম্বই থেকে ধরা পড়ে বেসরকারি ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ছাত্র নিয়াজ। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ আদালতের ।
১১ জুন সন্ধ্যায় এলিয়ট রোডের দোতলার ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বাহাত্তর বছরের দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের দেহ।
দরজা খোলা ছিল বসার ঘরে কার্পেটে চিত্ হয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধ মুখের ওপর তোয়ালে, তাতে রক্তের দাগ গলায় ক্ষতচিহ্ন ময়না তদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন
প্রতিবেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লম্বা, কালো, স্বাস্থ্যবান কানে দুল পরা এক যুবকের খোঁজ মেলে। ওই যুবক নাকি মৃত্যুর আগের দিন বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল । তাকে চিহ্নিত করতে....
পয়লা থেকে দশই জুন পর্যন্ত বৃদ্ধের মোবাইলে কোন কোন নম্বর থেকে মাত্র একবার ফোন এসেছিল, তার খোঁজ চালায় পুলিস।
একটি নম্বর মেলে যা পয়লা জুন চালু হয়েছিল। পনেরোই জুন নম্বরটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
ওই নম্বর থেকে আরও বারোটি নম্বরে ফোন হয়েছিল
বারোটি র মধ্যে একটি নম্বরে হোয়াটস অ্যাপে ছবি পাওয়া যায়। যার সঙ্গে মিল ছিল সন্দেহভাজনের ।
ছবিটিকে চিহ্নিত করা হয় এলিয়ট রোডের বাসিন্দা আব্দুল হাসান বলে।
হোয়াটস অ্যাপে হাসানের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে চিহ্নিত করা হয় মুম্বইয়ের ব্রহ্মদেব ফিল্ম ইনস্টিটিউট। ফিল্মে কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে ধরা হয় তাকে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে ধরা পড়ে হাসানের দোসর এলিয়ট রোডের নিয়াজ।
মাদকাসক্ত হাসান ও নিয়াজের প্রয়োজন ছিল টাকার। তাই ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে যায় বৃদ্ধের ফ্ল্যাটে। গলা টিপে ধরলে প্রতিবাদ করেন দেবকুমার বাবু। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।