রাইটার্স সংস্কার নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ভাবনার সঙ্গে একমত হতে পারছে না পূর্ত দফতর
রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সংস্কার নিয়ে দেওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে সহমত নয় পূর্ত দফতর। সংস্কারের পর কেমন দেখতে হবে রাইটার্স? তা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ককে। রিপোর্ট জামাও পড়েছে রাজ্যের কাছে। কিন্তু সংস্কার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ভাবনার সঙ্গে একমত হতে পারছে না পূর্ত দফতর। তাদের বক্তব্য রিপোর্টে এমন কিছু বলা হয়েছে যা বাস্তবোচিত নয়।
ওয়েব ডেস্ক: রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সংস্কার নিয়ে দেওয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে সহমত নয় পূর্ত দফতর। সংস্কারের পর কেমন দেখতে হবে রাইটার্স? তা দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ককে। রিপোর্ট জামাও পড়েছে রাজ্যের কাছে। কিন্তু সংস্কার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ভাবনার সঙ্গে একমত হতে পারছে না পূর্ত দফতর। তাদের বক্তব্য রিপোর্টে এমন কিছু বলা হয়েছে যা বাস্তবোচিত নয়।
কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে অমিল রয়েছে পূর্ত দফতরের। যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব বলছে,
১৮৬১ সালের পুরনো মহাকরণ মডেলকেই ফিরিয়ে আনতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ভেতরে থাকবে ফোয়ারা, বাগান। এলিভেটেড ওয়াটার বডি তৈরি করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে। মাটি থেকে কিছুটা ওপরে হবে বাগান, ফোয়ারা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকেই চোখে পড়বে এই সৌন্দর্য।
তবে পূর্তদফতর মনে করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এই নকশা বাস্তবায়িত করতে হলে বিপুল খরচ হবে, তাই একে বাস্তবোচিত মনে করছে না পূর্ত দফতর।
অন্যদিকে যাদবপুরের প্রস্তাব, সাধারণ মানুষের প্রবেশদ্বার ও পার্কিংয়ের জন্যে মহাকরণের পেছনদিককেই উপযুক্ত। এবিষয়েও ভিন্নমত রয়েছে পূর্ত দফতরের। মহাকরণের মধ্যে একটি মিউজিয়াম তৈরি করতে চেয়েছে পূর্ত দফতর। তবে যাদবপুরের পাঠানো রিপোর্টে এসংক্রান্ত কোনও উল্লেখ নেই।
সংস্কারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও তহবিল না থাকায় টাকার অভাবে থমকে রয়েছে কাজ। একমাত্র নোনা ছাদ মেরামতি ও ক্ষতিগ্রস্থ দেওয়াল মেরামতির কাজ চলছে অষ্ট্রেলিয়ার অস হেরিটেজ সংস্থার তত্ত্বাবধানে।বাকি সব কাজই থমকে রয়েছে।