জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপককে বেধড়ক মার, হামলা স্ত্রী- ছেলের ওপরেও
অঙ্কুর বাবু বলছেন, ''মেহেদী হাসানের দুই ভাই-সহ আরও দু-তিনজন মিলে প্রথমে তার স্ত্রীকে মারধর করে। স্ত্রীর গলায় হাতে-পায়ে একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। বাঁচাতে এলে তাকেও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। বাদ যায়নি ১৪ বছরের ছেলেও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিবেশী অধ্যাপকের হাতে আক্রান্ত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে-সহ পরিবারের ওপরেও হামলার অভিযোগ। কী কারণে হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একবালপুর এর ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই তিন বন্ধুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনিও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অভিযোগ গত ১৭ নভেম্বর সন্ধেবেলায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বিভাগীয় প্রধান অঙ্কুরের ওপর চড়াও হয় ৪-৫ জন ব্যক্তি। যাঁদের মধ্যে ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মেহেদী হোসেনের পরিবারও। অঙ্কুর বাবু বলছেন, ''মেহেদী হাসানের দুই ভাই-সহ আরও দু-তিনজন মিলে প্রথমে তার স্ত্রীকে মারধর করে। স্ত্রীর গলায় হাতে-পায়ে একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। বাঁচাতে এলে তাকেও লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। বাদ যায়নি ১৪ বছরের ছেলেও।
আরও পড়ুন: বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত বাবুলের! কল্যাণের পাল্টা, ক্ষমতা থাকলে করে দেখাক
এখন প্রশ্ন কেন মারধর করা হল। কোনও সূত্রই পাচ্ছেন না সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বিভাগীয় প্রধান। তবে এক বছর আগে গাড়ি পার্কিং করা কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, তার জেরেই কী হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ দিন ওই বিল্ডিং-এর চার তলায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঘরে কেউ ছিলেন না। তালা বন্ধ করা ছিল। পরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, ' অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি কলকাতার বাইরে রয়েছি। আমার ভাইয়েরদের উপর হামলা হয়েছে ওরা ভয় পেয়ে এগিয়ে চলে গিয়েছে। ওরাও হাসপাতালে রয়েছে। এক বছর আগে আমাকে মারধর করা হয়েছিল। পুরো বিষয়টা পুলিসকে জানিয়েছি।''