এক প্লেট ইডলির দাম ৩০ টাকা, তবে দাম দেওয়াটা এখানে বাধ্যতামূলক নয়!
খাওয়ার পর টাকা দেওয়ার কাউকেই জোর করেন না এই হোটেলের ৭০ বছরের বৃদ্ধা মালকিন...
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঁশ আর টিনে ঘেরা ছোট্ট ঝুপড়ি গোছের একটা দোকান। দোকানের চেহারা দেখলেই সেটির ও দোকানির আর্থিক স্বচ্ছলতার আন্দাজ করা যায় সহজেই। দোকানটি চালান ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। এখানে সস্তায় ইডলি পাওয়া যায়। সারাদিনে যে পরিমাণ ইডলি বিক্রি হয়, তাতে দু’বেলার খাওয়া-পরা মোটামুটি জুটে যায়। কিন্তু মজার বিষয় হল, তেমন আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকা সত্ত্বেও যে সব মানুষের খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ নেই, তাঁদের বিনা পয়সাতেই ইডলি খাওয়ান এই বৃদ্ধা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে তীর্থক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত অগ্নি তীর্থমে এই ইডলির দোকান চালান ৭০ বছরের বৃদ্ধা রানি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রানি বলেন, “এমনিতে এক প্লেট ইডলির দাম এখানে ৩০ টাকা। তবে আমরা টাকা দেওয়ার জন্য কাউকেই সে ভাবে চাপ দিই না। যাঁর সামর্থ আছে তিনি দাম দেন, যাঁর নেই তাঁর থেকে আমরা টাকা চাই না।”
Tamil Nadu: A 70-yr-old woman Rani runs an idli shop near Agni Tirtham in Rameswaram&serves idli free of cost to the poor;says,“We charge Rs.30 for a plate of idli,but we do not insist upon money. Who doesn’t have money,we don’t charge them. We still use wood as fuel for cooking” pic.twitter.com/yQuwihqv8o
— ANI (@ANI) September 15, 2019
আরও পড়ুন: বাবুঘাটে এবার প্যাকেজে তর্পণ! একই সঙ্গে পাতপেড়ে ভুরিভোজ আর গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ!
অগ্নি তীর্থমে প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ পুজো দিতে আসেন। এই দোকানেও ইডলি খেতে ভিড় করেন অনেকেই। দু’মুঠো খাবার জোটানোরও সামর্থ নেই, এমন খদ্দের প্রায় প্রতিদিনই জুটে যায়। তাঁদের হাসি মুখেই বিনামূল্যে ইডলি খাওয়ান ৭০ বছরের বৃদ্ধা দোকানি। কাঠের আগুনে রান্না করা সম্বর, চাটনি আর ইডলির স্বাদ নিতে তাই ভিড় করেন অগনিত মানুষ।