মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে ফোনের সঙ্গে

এই একুশের দশক হল আসলে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের যুগ। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে মিশে রয়েছে এই গ্যাজেটগুলি। মাঝে মধ্যে আমাদের চারপাশে থাকা মানুষদের কথাই আমরা ভুলে যাই এই গ্যাজেটের জন্য। গ্যাজেটগুলি আমাদের সাথে এমনভাবেই যুক্ত যে তাদের ছাড়া আমরা এক পাও চলতে পারি না। দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদের চোখ থাকে স্মার্ট ফোন নয়ত ট্যাবলেটের স্ক্রিনে। এই গ্যাজেটের জন্য আমাদের সম্পর্কগুলিও হয়ে যাচ্ছে একেবারে ফিকে।

Updated By: Oct 16, 2015, 01:36 PM IST
মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে ফোনের সঙ্গে
ফটো সৈজন্যে এরিক পিকারসগিল

ওয়েব ডেস্ক: এই একুশের দশক হল আসলে ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের যুগ। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে মিশে রয়েছে এই গ্যাজেটগুলি। মাঝে মধ্যে আমাদের চারপাশে থাকা মানুষদের কথাই আমরা ভুলে যাই এই গ্যাজেটের জন্য। গ্যাজেটগুলি আমাদের সাথে এমনভাবেই যুক্ত যে তাদের ছাড়া আমরা এক পাও চলতে পারি না। দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদের চোখ থাকে স্মার্ট ফোন নয়ত ট্যাবলেটের স্ক্রিনে। এই গ্যাজেটের জন্য আমাদের সম্পর্কগুলিও হয়ে যাচ্ছে একেবারে ফিকে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনের এরিক পিকারসগিল, একটি কল্পনার দুনিয়া বানিয়ে নিজেদের জীবনে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটের জায়গা করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে "রিমুভড" নামে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করেন।

তাঁর কতগুলি ছবি হল সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি, খাবারের টেবিলে একটি পরিবার, এক দম্পতি মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে আছে। এই সমস্ত ছবির মধ্যে দিয়ে এরিক বোঝাতে চেয়েছেন আমাদের সাথে আমাদের প্রিয়জনদের মধ্যের দুরত্ব।

এই প্রোজেক্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলার আট মাসে তিনি নিজেদের এই অভ্যেস বদলানোর জন্য তৎপর হয়েছিলেন। ফোনের সঙ্গে সময় না কাটিয়ে এরিক এবং তাঁর স্বামী একসঙ্গে গল্পের বই পড়ার অভ্যেস করেন।

এরিকের বলেন, "প্রয়োজন না থাকলে ফোন ব্যবহার করার দরকার নেই। অবসর সময় কাটানোর জন্য ফোনকে সাথী বানানোর কোনও দরকার নেই।"

(খবরের সুত্র ওয়াশিংটন পোষ্ট) 

.