মনে বসন্তের রং লাগাতে উইকএন্ডে চলে আসুন বরন্তি
চোখের আরাম পেতে, মনে রং ধরাতে হলে এই জায়গার তুলনা নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখের আরাম পেতে, মনে রং ধরাতে হলে এই জায়গার তুলনা নেই। শাল, মহুয়া গাছের নিবিড় ছায়া ঘেরা পুরুলিয়ার একটি ছোট্ট গ্রাম বরন্তি। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন নিখুঁত হাতে রং-তুলিতে আঁকা! গ্রামের অদূরেই ছোট ছোট টিলায় ঘেরা মুরাডি হ্রদ। সূর্যদয় বা সূর্যাস্তের সময় মুরাডি হ্রদের পাশে সময় কাটাতে পারলে চোখ, মন জুড়িয়ে যাবে। পলাশ দেখতে, বসন্তের স্বাদ নিতে বরন্তিতে এটাই সেরা সময়।
সকালে জলখাবার সেরে রওনা দিন জয়চন্ডী পাহাড় দেখতে। পায়ের নিচে লাল মাটির পথ আর পথের দু’ধারে পলাশে রাঙা গাছ। আমাদের। গ্রামের ভিতর দিয়ে যাবার সময় চোখে পড়বে বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রঙিন ছবি আর আলপনা।
জয়চন্ডী পাহাড়ের উপরে রয়েছে মঙ্গলচন্ডীর মন্দির। মঙ্গলচন্ডীর মন্দির ঘুরে দেখার পর চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিলে লালমাটির উপর আাঁকাবাঁকা রেলপথ আর পলাশের রঙিন স্নিগ্ধতায় চোখ, মন জুড়িয়ে যাবে। এই জয়চন্ডী পাহাড়েই হয়েছিল ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবির শুটিং। মন্দিরের চাতালে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর রওনা দেওয়া যেতে পারে পাঞ্চেত পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গড় পঞ্চকোটের দিকে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বর্গী আক্রমণের চিহ্ন আজও রয়ে গিয়েছে এখানে। এই গড় পঞ্চকোট ছিল শিখর রাজবংশের রাজধানী। এখানে দেখতে পাবেন পঞ্চরত্ন টেরাকোটার কাজে সেজে থাকা দক্ষিণ ও পূর্বদুয়ারী রাস মন্দির।
আরও পড়ুন: উইকএন্ডে ঘুরে আসুন অথৈ জলের মাঝখানে মৌসুনি দ্বীপে
গড় পঞ্চকোট থেকে চলুন পাঞ্চেত ড্যাম। দামোদর নদীর উপর গড়ে ওঠা এই জলাধারের চারপাশে রয়েছে একাধিক পিকনিক স্পট, সুন্দর সাজানো পার্ক।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে আদ্রা স্টেশন (একাধিক ট্রেন রয়েছে)। সেখান থেকে ট্রেনে মুরাডি। মুরাডি থেকে অটো বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যাবেন বরন্তি। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি হোটেল, রিসর্ট পেয়ে যাবেন। আগে থেকে অনলাইনে ঘর বুকিং করে যাওয়াই ভাল। এ ছাড়াও গড় পঞ্চকোটে রাজ্য সরকারের বনবিভাগের বাংলো রয়েছে, গড় পঞ্চকোট ইকো ট্যুরিসম রিসর্ট রয়েছে। দু’জনের জন্য দু’দিন-এক রাতের খরচ মোটামুটি ৩,০০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকা।