জানুন পারিবারিক হিংসার কারণে কত ক্ষতি হয় মহিলাদের

বাড়িতে রোজ ঝামেলা, অত্যাচার? প্রতি মুহূর্তে গঞ্জনা, মারধর? এর ফলে শুধু মানসিক নয়, মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে মস্তিষ্কে। পারিবারিক হিংসায় ক্রমশ ক্ষইতে থাকে মস্তিষ্কের কোষ। সেই ক্ষত থেকে পারকিনসন্স বা অ্যালঝাইমার্সের মতো মারাত্মক রোগও হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই মারাত্মক তথ্য।

Updated By: Nov 2, 2016, 10:41 AM IST
জানুন পারিবারিক হিংসার কারণে কত ক্ষতি হয় মহিলাদের

ওয়েব ডেস্ক: বাড়িতে রোজ ঝামেলা, অত্যাচার? প্রতি মুহূর্তে গঞ্জনা, মারধর? এর ফলে শুধু মানসিক নয়, মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে মস্তিষ্কে। পারিবারিক হিংসায় ক্রমশ ক্ষইতে থাকে মস্তিষ্কের কোষ। সেই ক্ষত থেকে পারকিনসন্স বা অ্যালঝাইমার্সের মতো মারাত্মক রোগও হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই মারাত্মক তথ্য।

পার্ক সার্কাসের নাজিয়া ফাইজি। উলুবেড়িয়ার মিতা মণ্ডল। কসবায় বিকৃত যৌন লালসার শিকার মহিলা। পুরুষশাসিত সমাজের লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, অত্যাচারের শিকার এঁরা সকলেই। এমনই আরও কত পারিবারিক হিংসা প্রতিদিন ঘটে চলেছে চোখের আড়ালে। আরও কত নির্যাতিতার চোখের জলে প্রতিদিন ভিজছে চার দেওয়ালের প্রতিটা কোণ। শুধু চোখের জলই নয়, অ্যারিজোনার ব্যারো নিউরোলজিকাল ইন্সটিটিউটের গবেষকরা আরও মারাত্মক তথ্য দিয়েছেন।

আরও পড়ুন জানুন নারী নির্যাতনে কোন স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ

আর কোনওদিন ফিরবেন না নাজিয়া ফাইজি বা মিতা মণ্ডল। কিন্তু যাঁরা প্রতিদিন অলক্ষ্যে কেঁদে চলেছেন, তাঁরা?  গবেষকরা বলছেন, তাঁদের হাতছানি দিচ্ছে আরও বড় বিপদ।

পারিবারিক হিংসার কারণে মাথায় একাধিক আঘাত পান ৮৮ শতাংশ মহিলা। ৮১ শতাংশ মহিলা তারও বেশি আঘাত পান বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের পরেও যাঁরা বেঁচে থাকেন, মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয় তাঁদের। চিরকালের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারাতে পারেন তাঁরা। পারকিনসন্স বা অ্যালঝাইমার্সের মতো মারাত্মক রোগেরও শিকার হতে পারেন তাঁরা।

বাইরে থেকে আঘাতের ফলেই মস্তিষ্কে এই ধরনের ক্ষত তৈরি হয়। তিনভাবে হতে পারে এই ক্ষত।

আরও পড়ুন এই প্রথম রাজ্যে সংখ্যালঘু মহিলারাও বসছেন চালকের আসনে

ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ফলে ক্ষত।

ঘুসি বা মাথা ধরে সাঙ্ঘাতিক ঝাঁকুনির ফলে মস্তিষ্কে ক্ষত।

এবং শ্বাসরোধ করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন না পৌছে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।

মস্তিষ্কে এই ক্ষত হলে বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়।

কানে কম শোনা।

আরও পড়ুন এই ১০ বোন যদি ওই ১০ জনকে ভাইফোঁটা দিতেন তাহলে পৃথিবীতে মুষলধারায় শান্তি আসতো!

সাঙ্ঘাতিক মাথার যন্ত্রণা।

তীব্র ক্লান্তি।

স্মৃতিশক্তি হারানো।

দৃষ্টিশক্তি হারানো।

ইনসমনিয়া।

ডিপ্রেশন এবং

কথাবার্তায় অসংলগ্নতা।

চার দেওয়ালের মাঝে শুধু বুকফাটা হাহাকার নয়, মন এবং শরীরের সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই ক্ষয়ে যেতে থাকে মস্তিষ্ক। কী নিদারুণ পরিণতি!

.