কেল্লার যোধপুরে মধুচন্দ্রিমার খুনসুটি

সদ্য বিয়ে সেরেছেন? অফিসের বসকে পটিয়ে কোনও রকমে দিন দশেকের ছুটিও বাগিয়ে নিয়েছেন! কিন্তু মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন, সেটা ভাবতে হিমসিম...

Updated By: Sep 28, 2012, 01:45 AM IST

সদ্য বিয়ে সেরেছেন? অফিসের বসকে পটিয়ে কোনও রকমে দিন দশেকের ছুটিও বাগিয়ে নিয়েছেন! কিন্তু মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন, সেটা ভাবতে হিমসিম... আপনি আর আপনার অন্যন্যার একান্তের মূহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে মায়াময়ী যোধপুর কিন্তু আপনার হানিমুন ডেস্টিনেশন হতেই পারে। রাজস্থানের সংস্কৃতির ঐতিহ্য, সোনালি শহরটার শীর্ষে যেন সোনার মুকুট। কেল্লা-লেক। অ্যাডভেঞ্চার আর রোম্যান্টিকতা মেখে গিয়ে যেন বিবেকানেন্দ পার্কের দই ফুচকা।
যোধপুর গেলে বালসমন্ড লেক দেখতে ভুলবেন না যেন। স্বাদ চাখতে পারেন ইতিহাস প্রাচীন রাজ ঘরানার কেল্লার অলিন্দের। আর যদি হাতে একটু সময় থাকে, ঘুরে আসতে পারেন জয়সলমীরও। দু`জনে হাত ধরাধরি করে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতেই পারে `সোনার কেল্লা` উদ্ধার করে বাড়ি ফিরতি ফেলুদা, মুকুল আর তোপসের সঙ্গে। আপনার হানিমুন পিরিয়ডের মধ্যে যদি একটা পুর্ণিমা পেয়ে যান, তবে মাহেন্দ্রক্ষণের রাতে দু`জনে ছাদে উঠে... জয়সলমীর তখন সোনালী আতরে স্নাত।
মহারানা ফোর্টের ফুল মহল, শীষ মহল, মোতি মহল তাঁদের রাজকীয়তায় স্বাগত জানাবে আপনাদের। আর আলস দুপুরে পিকনিক জমাতে মানডোর গার্ডেন চলে যান। কিংবা যান মহা মন্দির, যা আপনার মধুচন্দ্রিমার সফরে অন্য মাত্রা এনে দেবে। আর রাজস্থানের মাটির গন্ধ পেতে এক দিনের সাফারি ট্যুর করতে পারেন যোধপুরের আশেপাশের গ্রামগুলিতে। তাও আবার উটের পিঠে চেপে। গ্রামীন রাজস্থানিদের হাতের কাজের সমারোহও বেশ সুন্দর।
যাওয়ার পথ:
১ম দিন: ট্রেনে অথবা বিমানে যোধপুর পৌঁছে, হোটেল থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরুন শহর সফরে। রাতে থাকুন যোধপুরে।
২য় দিন: ঘুরে দেখুন কেল্লা, মোতি মহল, মেহেরগর কেল্লা, ফুল মহল।
৩য় দিন: একদিন গাড়ি বুক করে চলে যান ৬ কিলোমিটার দূরের জয়সলমীরে। আস্বাদ নিন সবটুকুর। একটুও যেন ফাঁকি না পড়ে।
৪র্থ দিন: শেষের দিনটা কাটাতে পারেন যোধপুরেই। কিছু টুকিটাকি কেনাকাটাও করে নিতে পারেন। ব্যাগে পুরে মধুর স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসুন নিজের শহরে। শুরু হোক নতুন জীবন।
থাকার হদিশ:
একে তো মধুচন্দ্রিমা, তাও আবার যোধপুরে। নিশিযাপনের স্থল নিয়ে একটু পার্টিকুলার না হলে চলে! ভয় নেই, আর পার রেস্ত অনুযায়ী নানান রকমের হোটেল রয়েছে যোধপুর-জয়সলমীরে। রাজস্থানী রাজপুতানার আসল স্বাধ পেতে থাকতে পারেন হেরিটেজ হোটেলগুলিতে। খান কুড়ি এরকম হোটেলের হদিশ মিলবে এই শহরে। তবে তাতে পকেটটা একটু খসবে। তাতে কী? মধুচন্দ্রিমাতো আর বার বার আসে না। পেয়ে যাবেন বেশ কিছু লাক্সারি হোটেলও। আরও অনেক সস্তা দরের হোটেলও রয়েছে। পছন্দ মতো একটা বেছে নিলেই হয়। থাকতে পারেন কটেজ হাউসগুলিতেও। সেটাও মধুচন্দ্রিমার উষ্ণ রাতে অন্য মাধুর্য যোগ করবে।

.