কলকাতার কবিতার ফ্যাশন ফিয়েস্তা
কলকাতার ডিজাইনার কবিতা তুলসিয়ান। ২০০৪ সালে আত্মপ্রকাশ।
কলকাতার ডিজাইনার কবিতা তুলসিয়ান। ২০০৪ সালে আত্মপ্রকাশ। তাঁর ভিসিডি `সেনসুয়াল শাড়ি ওয়্যারিং`-এর সাফল্যের পরই নিজের ব্র্যান্ড `পাঙ্খুড়ি` লঞ্চ করেন কবিতা। কোনও এক ধরণের স্টাইলে নিজের ধরে না রেখে ক্রমাগত রূপান্তরের মাধ্যমেই নিজেকে আবিষ্কার করতে ভালোবাসেন কবিতা। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে নিয়ে আসেন `প্রিমিয়াম লেবেল কবিতা তুলসিয়ান`। `পাঙ্খুড়ি` যদি হয় সিম্পল, ক্যাজুয়াল, রেডি টু ওয়্যার ডিজাইনের ভান্ডার, তবে `কবিতা তুলসিয়ান` হাইলি ফ্যাশনেবল পোষাকের শেষ কথা।
ওয়েস্টার্ন কাটে ইন্ডিয়ান এথনিক পোষাক কবিতার সিগনেচার স্টাইল। "মাই সিল্যুয়েটস আর ভেরি সেনসুয়াল অ্যান্ড দ্য এমব্রয়ডারিজ আর ওয়েল ইঞ্জিনিয়ারড"। নিজের ডিজাইনকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন কবিতা। নতুন প্রজন্মের মহিলাদের পোষাক নিয়ে নিত্যনতুন অ্যাডভেঞ্চার করাই কবিতার নেশা। শুধুমাত্র ভারতীয় স্টাইলে আবদ্ধ না থেকে নিজের ডিজাইন ও কালারের মাধ্যমে নারী সৌন্দর্যের বিশ্বায়ন ঘটানোর লক্ষ্যেই প্রতিদিন এগিয়ে চলছেন তিনি। নিজের প্রতিটা কালেকশনকে অন্যটার থেকে আলাদা করতে প্রতিমুহূর্তেই নতুন কিছু সৃষ্টি করে চলেছেন কবিতা।
লেয়ারড স্কার্ট, হ্যান্ড পেন্টেড ড্রেস কবিতার ডিজাইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। `রিউমরস`, `মাই বেস্ট ফ্রেন্ডস ওয়েডিং`, `মিডনাইট মাস্কিউরেড`, `ককটেল`, `ইভা-দ্য গার্ডেন অফ ইডেন`, `ওপিউলেন্স ইন দ্য ডেসার্ট` তাঁর সবকটি কালকশনই একেবারে স্বতন্ত্র। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি জামশেদপুরের অ্যনুয়াল র্যাম্প থেকে ফেমিনা ব্রাইডাল শো, সব জায়গাতেই কবিতার সাবলীল বিচরণ। শুধু র্যাম্পেই থেমে থাকেননি তিনি। এলিটের অ্যাড ক্যাম্পেন, টেলিভিশন শো রং রুটের পোষাকেও নিজের এক্সেলেন্সির পরিচয় দিয়েছেন কবিতা। কলকাতার নামী মডেল বিদিতা, জেসিকা, মৌবনী, শিনা, রেচেল থেকে শুরু করে টলিউড বিউটিরাও সমান স্বচ্ছন্দ কবিতার পোষাকে।
আলিপুরে তাঁর নিজস্ব ফ্যাশন স্টুডিওয় মিলবে লেবেল কবিতা তুলসিয়ান।