ভারতীয় ফ্যাশনের নতুন দিশা নিশকা লুল্লা
উজ্জ্বল। তাজা। তারুণ্যে ভরপুর। নিশকা লুল্লা আর তাঁর কালেকশনকে বোধহয় এই শব্দগুলো দিয়েই যথার্থ ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
উজ্জ্বল। তাজা। তারুণ্যে ভরপুর। নিশকা লুল্লা আর তাঁর কালেকশনকে বোধহয় এই শব্দগুলো দিয়েই যথার্থ ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। মুম্বইয়ের এসএনডিটি কলেজের স্নাতক নিশকা ভারতীয় ফ্যাশন জগতের নতুন প্রজন্মের অন্যতম ট্রেন্ড সেটার। মা নীতা লুল্লার তত্ত্বাবধানে সৃজনশীল পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছেন নিশকা। ছোট থেকেই ফ্যাশন দুনিয়ার অলি গলির সঙ্গে সুপরিচিত এই কন্যে তাই প্রথম থেকেই ফ্যাশন ডিজাইনিংকেই নিজের পেশা হিসাবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন।
গুনী মায়ের সুযোগ্যা মেয়ে নিশকা প্রথম সুযোগেই স্বাক্ষর রেখে ছিলেন নিজের প্রতিভার। ২০০৯-এর ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে `বার্বি অল ডলড আপ` শো তে জিতে নিয়েছিলেন `ক্রিয়েটিভ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড`। বার্বির ৫০তম জন্মদিনে তাকে নিজের মত করে সাজাবার প্রতিযোগিতায় ছিলেন ভারতের নাম করা সব ডিজাইনাররা। কিন্তু সবাইকে পিছনে ফেলে নিশকার তৈরি পোষাকটাই ঠাঁই খুঁজে নিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্বি মিউজিয়মে। এরপরেই লাইমলাইটে চলে আসেন নিশকা।
বলিউডের জেন এক্স থেকে জেন ওয়াই, নিশকার হাতের জাদুতে সবাই অনন্যা। ক্যাটরিনা কাইফ, জেনেলিয়া ডি`সুজা, নীতু চন্দা, আমিশা পাটেল, সমীরা রেড্ডি, দিয়া মির্জা, জারিন খান, শ্রুতি হাসান- নিশকার ক্লায়েন্ট লিস্টে তারকার সংখ্যা ক্রমবর্ধমান।
বিখ্যাত ফ্যাশন ব্রান্ড `প্রোভোগ` আর একেবারে খাঁটি ভারতীয় জুতোর কোম্পানি `মোচি`র ফ্যাশন পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেন নিশকা। ইতিমধ্যেই বলিউড ফ্যাশনে সাফল্যের সঙ্গে হাতেখড়ি হয়ে গেছে তাঁর। `লাভ ইউ মিস্টার কলাকার` নামক ছবিতে পোষাক পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু দক্ষিণ ভারতীয় ছবিতেও পোষাক পরিকল্পনা করেছেন নিশকা।